সামনে ‘কঠিন’ লোকসভার লড়াই – প্রশাসনিক স্তরে ব্যাপক রদবদলের ইঙ্গিত নবান্নসূত্রে রাজ্য July 23, 2018 কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। তার আগে সমস্ত দিকের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার ঘুরে গেলেন কলকাতা। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি প্রসাশনিক স্তরেও প্রাথমিক আলোচনা সারতেই তাঁর কলকাতায় আসা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্বাচন কমিশনের রাজ্যে আসার অর্থ শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বা বিভিন্ন অভিযোগে দুষ্ট প্রসাশকদের বদলী – তা স্পষ্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলা পুলিসের একাধিক স্তরে রদবদল অবশ্যম্ভাবী। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ভোটে শাসকদল ঘনিষ্ঠ একাধিক আমলা ও পুলিস অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। ভারতী ঘোষ, এসএমএইচ মির্জা, হুমায়ুন কবির প্রমুখ। এর মধ্যে বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিস সুপার মির্জার বিরুদ্ধে নারদকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। অন্যদিকে ভারতী ঘোষের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা এখন অতীত। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দুঁদে গোয়েন্দারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও ভারতীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। শাসকদলের হয়ে কাজ করার পাশাপাশি সারদা তদন্তের নথি লোপাটের অভিযোগ থাকায় কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকেও পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। একইসঙ্গে একাধিক জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ভোট মেটার পর প্রত্যেককেই আবার আগের পদে ফিরিয়ে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার হলেই আসরে নামবে নির্বাচন কমিশন। তখন আর কিছু করার থাকবে না। তাই এবার সময় থাকতে পদক্ষেপ করতে চাইছে নবান্ন। চার বছর বা তার বেশি সময়ে একই পদে রয়েছেন, এমন অফিসার কিংবা পুলিসকর্তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের তড়িঘড়ি অন্য জেলায় বদলির তোড়জোড় চলছে। অবশ্য বিরোধীদের মতে, নিজেদের দোষ ঢাকতেই সরকারের এই তড়িঘড়ি উদ্যোগ। আপনার মতামত জানান -