কয়েক কোটি টাকা নয়ছয় করে বিদেশ থেকে বার্তা কিংফিশারের মালিকের জাতীয় April 2, 2020 বহু কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, যাকে ভারত সরকার পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী বলে ঘোষণা করেছে, এবার সেই বিজয় মালিয়া করোনা সংকটে সরকারি সাহায্যের আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সূত্রের খবর, লকডাউন চলাকালীন বিজয় মালিয়ার একাধিক কোম্পানিগুলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতেই এবার তিনি আর্থিক সাহায্যের দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। শুধু তাই নয়, বিজয় মালিয়া দাবি করেছেন ভারতবর্ষে যে সংকট চলছে তার দিকে নজর রেখেই দেশের অর্থমন্ত্রী অবশ্যই তাঁর আবেদনে সাড়া দেবেন। ভারতবর্ষে বিজয় মালিয়াকে অর্থনৈতিক ফেরার বলে ঘোষণা করার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে খবর। কারণ, কোটি কোটি টাকা নয় ছয় করে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন ব্রিটেনে। লকডাউন চলাকালীন তাঁর সমস্ত কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজয় মালিয়া। এবার তাই তিনি তার কর্মীদের সুবিধার্থে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন আর্থিক সাহায্যের। বিজয় মালিয়া সাধারণত পরিচিত সর্বসাধারণের কাছে পরিচিত কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মালিক হিসাবে। যদিও আর্থিক তছরুপের কারণে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর অচিরেই সেই কোম্পানী বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ভারত থেকে পালিয়ে গিয়ে বিজয় মালিয়া আশ্রয় নেয় ব্রিটেনে। সেখান থেকেই তিনি ভারত সরকারের শাস্তি এড়াতে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন বহুদিন ধরেই। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারও চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁর প্রত্যর্পণের জন্য। এই অবস্থার বিজয় মালিয়া টুইট করে এদিন জানিয়েছেন “আমি স্বাগত জানাচ্ছি ভারত সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে । আমার সব কোম্পানির উত্পাদন বন্ধ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও আমি কোনও কর্মীর বেতন বন্ধ করিনি। কিন্তু এবার সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন।” জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতেই বিজয় মালিয়ার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট থেকে মামলা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু তার মাঝেই এবার উল্লেখযোগ্যভাবে বিজয় মালিয়া একটি পোস্ট করে দাবী করেন, তিনি কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যাবতীয় যা টাকা নিয়েছিলেন, তা সম্পূর্ণরূপে ফেরত দিতে চান। কিন্তু ব্যাংক বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কোনরকম সাহায্য করছে না তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই অসময়ে যাতে ভারতের অর্থমন্ত্রী যেন তাঁকে সাহায্য করেন, সেই কথাই জানিয়েছেন বিজয় মালিয়া। সূত্রের খবর, গত মাসেই কিংফিশার কর্তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মার্চ মাসে বিজয় মালিয়া সংক্রান্ত শুনানির কথা ছিল, কিন্তু তার মধ্যেই দেশে উপস্থিত হয় বড় রকমের সঙ্কট করোনারূপে। সেই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিজয় মালিয়া তাঁর সমস্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার কথায় পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিলো বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই ভারতের ব্যাংকে বিপুল টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পালানো বিজয় মালিয়া, নিরব মোদীসহ অন্যদের ধরতে অর্থনৈতিক অপরাধী আইন তৈরি করেছে ভারত সরকার। অভিযুক্তদের দেশে ফেরা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে আমাদের দেশের সরকার। বিজয় মালিয়াকে দেশে ফেরাতে এখনো তৎপরতা জারি রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় বিজয় মালিয়ার আবেদন সরকারি তৎপরতাকে আরও ত্বরান্বিত করে না বন্ধ করে সে দিকেই লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল। বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভারতের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে 3 হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। তাই ভারত থেকে তাকে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী বলে ঘোষণা করার তোড়জোড় শুরু করেছে ভারত সরকার। ইতিমধ্যে 2018 সালের আগস্ট মাসে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী আইনে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবার সেই আইনের উপর ভিত্তি করেই চেষ্টা করা হচ্ছে বিজয় মালিয়াকে কব্জা করার। এই অবস্থায় পুরো ব্যাপারটি নতুন দিকে মোড় নিল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -