মুখ্যমন্ত্রীকে ‘প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির ঝাড়ুদারের পোস্ট’ দিতে চান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা জাতীয় রাজ্য July 30, 2018 বনগাঁ স্টেশনের একটি মাঠে বিজেপির তপশিলি মোর্চার একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির তপশিলি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বিনোদ সোনকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। ছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তপশিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি অরুণ হালদার সহ অন্যরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এদিন সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে তাঁকে আক্রমণ করেন রাহুলবাবু। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিন রাহুলবাবু নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির ঝাড়ুদারের পোস্ট’ দিতে চান বলে আক্রমণ করলেন। জানালেন যে, “ওনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা হয়েছে। ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী হয়ে যদি বাংলার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো যায়। প্রধানমন্ত্রী তো হতে পারবেন না কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির ঝাড়ুদারের পোস্ট পাকা। চিন্তার কোনও কারণ নেই।” অন্যদিকে “৪২টি আসনই জিততে হবে।” অভিষেক ব্যানার্জীর এই ডাককেও কঠাক্ষ করে জানান যে ২০১৯ সালে লোকসভায় তৃণমূল ডবল ডিজিট পাবে কি না সেটা নিশ্চিত করুক। তাছাড়া তিনি আরো বলেন, ” আমরা ২২টি আসন জিতব বলায় তৃণমূলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল এটা বুঝতে পেরেছে। অমিত শাহ যেটা বলেন সেটা করে ছাড়েন। অতীত ইতিহাসগুলি দেখে তৃণমূলের রক্ত হিম হয়ে যাচ্ছে। যার জন্যেই বিনাশের বিভীষিকা দেখতে পারছে তৃণমূল। আমরা ২২টি আসন জেতার কথা বলেছি। কিন্তু সংখ্যাটা আরও বাড়বে।” অন্যদিকে চুপ থাকলেন না বিনোদ সোনকার ও। বিতর্ক বাড়িয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিন তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মূল প্রশ্ন ছোঁড়েন।তিনি বলেন “মা আজ মানুষকে মারছে। যাদের মারা হচ্ছে তারা কি বাঙালি নয় ? তারা কি বাংলার মাটিতে জন্মায়নি। তাহলে মা কেন তার ছেলেদের খুন করছে ?” এরপরেই সবাই উপস্থিত মানুষের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কিন্তু এ কেমন মা যিনি নিজের দেশ নিজের সন্তানদের হত্যা করছেন ?উপস্থিতদের তরফ থেকে উত্তর আসে ‘ ডাইনি। ‘এতে বিনোদবাবু নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ওই অশ্লীল মন্তব্যকে সম্মতি জানিয়ে বলেন ‘ও আচ্ছা ডাইনি বলে। ‘ ফলে মুখ্যমন্ত্রীকে এইভাবে অশালীন আক্রমণ করে বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপি নেতারা। যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -