অনুব্রত মন্ডলের ‘দেখানো’ পথে পুলিশকে হুমকি, উর্দি খুলে নেবার হুমকি তৃণমূল নেতার রাজ্য July 30, 2018 পুলিশকে বোম মারার কথা বলে একবার চরম বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বীরভূমের তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। তাঁর এই কথায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল সব মহলে। এবার জেলা নেতার দেখানো পথেই হেটে বিপাকে পড়লেন সেই বীরভূমেরই খয়রাশোলের তৃনমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ। শনিবার বারুইজোড় গ্রামে একটি আদিবাসী সম্মেলন ছিল। সেখানেই উপস্থিত হয়ে তৃনমূলের দীপক ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ভাবে তোপ দাগেন। পুলিশের পাশাপাশি এই সভা থেকে বিজেপিকেও তুলোধোনা করেন তিনি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিন প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দীপক ঘোষ বলেন, “পুলিশকে সাবধান করছি, যদি আমার ছেলেরা থানার গিয়ে বঞ্চিত হন আপনার উর্দি টেনে খুলে নেব। আপনি যদি কয়েকজন মস্তানকে নিয়ে চলেন আপনার চাকরিটা খেয়ে নেব। থানায় বসে যা খুশি তাই করবেন এটা মানা যাবে না।” কিন্তু হঠাৎ শাসকদল হয়ে কেনসেই শাসকেরই পুলিশের প্রতি তোপ দাগলেন এই তৃনমূল নেতা? এ প্রসঙ্গে দীপক ঘোষ জানান, কাঁকরতলা থানার যে ওসি সম্পর্কে তিনি এই মন্তব্য করেছেন সেই পার্থসারথী মুখোপাধ্যায় থানায় মানুষের কথা না শুনে লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন। তাই তিনি সেই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে এরকম বলেছেন। এখানেই অনেকের প্রশ্ন, পুলিশ যদি এরকম করে তাহলে তা সত্যিই অন্যায়। কিন্তু তাঁর জন্য সেই পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আরও একটা অন্যায় কেন করলেন এই তৃনমূল নেতা? এ প্রসঙ্গে তৃনমূলের খয়রাশোল ব্লকের অবজার্ভার তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি। তাঁর নির্দেশ মতই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলার তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, “পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়ার কথা বললে তা ঠিক হয়নি। এব্যাপারে ওসিরও ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত।” রাজনৈতিক মহলের ধারনা, দীর্ঘদিন ধরেই তৃনমূলের বিরুদ্ধে পুলিসকে দলদাসে পরিনত করার অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি। এবার ফের বীরভূমে অনুব্রত মন্ডলের পর শাসকদলেরই আরও এক নেতা দীপক ঘোষের পুলিশ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাজনৈতিক লড়াইয়ে অক্সিজেন পেল বাংলার বিজেপি নেতারা। আপনার মতামত জানান -