এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপাল ইস্যুতে ভয় পেয়েছেন মমতা? পরোক্ষে কি শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি! বাড়ছে রহস্য!

রাজ্যপাল ইস্যুতে ভয় পেয়েছেন মমতা? পরোক্ষে কি শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি! বাড়ছে রহস্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিধানসভায় পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস প্রস্তাব এনে তা পাস করেছে রাজ্য সরকার। তবে বক্তব্য রাখার সময় তার বিরোধিতা করে রাজ্যপালের কাছে এই প্রস্তাব গেলে তাতে সই করবে না রাজভবন। এমনটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেউ না সই করলেও তারা পয়লা বৈশাখই বাংলা দিবস হিসেবে পালন করবেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সেই হুঁশিয়ারিতে কি ভয় পেয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কারণ যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে এদিন বিধানসভায় পাস হওয়া এই প্রস্তাব রাজভবনে পাঠাচ্ছে না রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তা নিয়েই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।

প্রসঙ্গত, এদিন পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস করা নিয়ে বিধানসভায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাস করা হয়। আর তারপরেই তার বিরোধিতা করে রাজভবনে যায় বিজেপি বিধায়করা। যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এটা কোনো বিল নয় যে, রাজভবনে পাঠাতে হবে। এটা একটি প্রস্তাব। বিজেপি কিছু জানে না। তাই এই ধরনের কথা বলছে। অর্থাৎ সূক্ষ্মভাবে এই প্রস্তাবকে বিধানসভায় পাস করিয়ে আর যে রাজভবনে পাঠাতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী, তা এক কথায় তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল।

একাংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন, এই প্রস্তাব বিধানসভা থেকে পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাজভবনে গেলে তা আটকে যাবে। কেননা রাজভবনের পক্ষ থেকে 20 জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস ইতিমধ্যেই পালন করা হয়েছে। আর তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজভবনে এই প্রস্তাব গেলেও তাতে স্বাক্ষর করবেন না রাজ্যপাল। তাই গোটা বিষয়কে শুধুমাত্র “প্রস্তাব” আখ্যা দিয়ে তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো প্রয়োজন নেই বলে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ মুখ্যমন্ত্রী জানেন, রাজভবনে পাঠালে তাতে তিনি সবুজ সংকেত পাবেন না। কার্যত গঠনমূলক দিক থেকে আবার শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ভয়েই তিনি কৌশলগত ভাবে এই কাজ করার চেষ্টা করেছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ দিবস রাজ্যপাল এক ভাবে পালন করবেন, বিরোধীরা একভাবে পালন করবে, আর রাজ্য সরকার আর এক দিন পালন করবে, এটা কখনও হতে পারে না। ফলে এটা “প্রস্তাব” বলে যদি মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন যে, তা রাজভবনে পাঠাবেন না, তাহলে তা নিয়ে আবার রাজ্য সরকার ফেঁসে যেতে পারে। কেননা যে কোনো বিষয়ে বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর তা রাজভবনে পাঠানো বাধ্যতামূলক। তাই শুধুমাত্র রাজ্যপালের সবুজ সংকেত পাবেন না জেনে যদি মুখ্যমন্ত্রী এই প্রস্তাব রাজভবনে না পাঠান, তাহলে সাংবিধানিক প্রধান বড় কোনো পদক্ষেপ নিলে মারাত্মক ভাবে চাপে পড়তে পারে রাজ্য। ফলে এক দিকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাওয়ার ভয়, আবার অন্যদিকে রাজ্যপালের তরফে সবুজ সংকেত না পাওয়ার ভয়ে রীতিমত উভয় সংকটে মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!