এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সাব্বাস! বেকারদের চোখের জলে তা ধিন ধিন মমতার! করুন পরিনতি রাজ্যের!

সাব্বাস! বেকারদের চোখের জলে তা ধিন ধিন মমতার! করুন পরিনতি রাজ্যের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পেয়ে রাজপথে বসে আন্দোলন করছেন। অনশন করছেন ডিএর দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলাতে গেলেই বোঝা যাবে, রাজ্যের কি করুন পরিণতি! কিন্তু সেসব দিকে নজর দেওয়ার মত সময় নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বিধানসভায় বাংলা দিবস প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তিনি সরাসরি চলে গেলেন ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। আর সেখানে ডান্ডির তালে তালে পা মিলাতে দেখা গেল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। যা দেখে নিন্দায় সরব হচ্ছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন ধনধান্য অডিটোরিয়ামে জৈন সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই ডান্ডিয়া নাচে পা মেলান তিনি। ডান্ডির তালে তালে পা মেলাতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, রাজ্যের মানুষকে নাচিয়ে এবার নিজেও আনন্দ নৃত্য পরিবেশন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে একাংশের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন, তা নিয়েও কেন এত খোঁচা দেবে বিরোধীরা?

 

বিরোধীদের দাবি, সত্যিই তো তাই! তাদের তো এ রাজ্যে কথা বলা বারণ। যা বলবেন, সবটাই তো অনুপ্রেরণার মুখ থেকে নির্গত হবে। এরপর হয়তো মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলবেন, যারা সংস্কৃতি পছন্দ করেন না, যারা নাচ গান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলবেন, নাচ-গান করব না তো কি! শ্রাদ্ধ করব! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরেই যখন একের পর এক উৎসবে শামিল হয়েছিল বর্তমান তৃণমূল সরকার, তখন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একবার এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছিলেন। আর সেই সময় তার জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ওনাকে বলে দেবেন, উৎসব করব না তো কি শ্রাদ্ধ করব!” ফলে সেই কথা তুলে ধরে বিরোধীরা বলছেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বেকাররা কাঁদছে, ডিএ না পেয়ে সংসার চালানোর চিন্তায় আশঙ্কায় দিন গুজরান করছেন সরকারি কর্মচারীরা, তখন মন্ত্রীদের বেতন বাড়িয়ে অডিটোরিয়ামে ডান্ডিয়া নাচে পা মেলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, বেকারদের জন্য কেন এক ফোঁটাও হৃদয় কেঁপে উঠছে না রাজ্য সরকারের? মন্ত্রীদের বেতন বাড়াতে গিয়ে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করতে গিয়ে কেন একবারও মুখ্যমন্ত্রীর মনে পড়ল না শিক্ষিত ছেলেগুলো রাস্তায় বসে থেকে কাঁদছে! তারপর অডিটোরিয়াম এসে তিনি আবার ডান্ডিয়া নাচে সামিল হচ্ছেন! বোঝাচ্ছেন, তিনি সংস্কৃতি প্রমান মানুষ! তিনি সংস্কৃতির উৎসবে শামিল হতেই পারেন এটা কোন অন্যায়ের বিষয় নয় কিন্তু বিরোধীরা বলছে যে রাজ্যে শিক্ষার বারোটা বেজে গিয়েছে, যে রাজ্যে সংস্কৃতি পরিচিতি পায় চটুল নাচের মধ্যে দিয়ে, যে রাজ্যে শিক্ষক দিবস আর বিজয়া দশমীর ডিজে নৃত্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না! সেখানে কোন সংস্কৃতির বার্তা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! সংস্কৃতিকে যদি লালন এবং পালন করতেই হয়, তাহলে আগে বেকারদের চোখের জল মোছাতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের ঘরে যে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা, সেখানে কিছুটা হলেও আলু সেদ্ধ ভাত পৌঁছে দিতে হবে। এটাই প্রশাসনিক প্রধানের কর্তব্য এবং দায়িত্ব হওয়া উচিত। অন্তত তেমনটাই মনে করছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!