এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এতই ভয় শুভেন্দুকে? “তুই” বলে সম্বোধন কোন শিষ্টাচার! বিধায়কদের কি শেখাচ্ছেন মমতা!

এতই ভয় শুভেন্দুকে? “তুই” বলে সম্বোধন কোন শিষ্টাচার! বিধায়কদের কি শেখাচ্ছেন মমতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শুভেন্দু অধিকারীকে যে কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা এতদিনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই শুভেন্দু অধিকারীকে “তুই” বলে সম্বোধন করে বসলেন তৃণমূল বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে একদিকে চূড়ান্ত অসম্মান এবং অন্যদিকে শাসকদলের জনপ্রতিনিধির এই ঔদ্ধত্য দেখে গণতন্ত্রের কারবারিরা রীতিমতো হতবাক। তারা বলছেন, আজ বিধানসভার লাইভ সম্প্রচার দেখানো হচ্ছে, আর সেখানেই তৃণমূল বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীকে এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করছেন। তাহলে যখন বিধানসভার এমনি অধিবেশন যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয় না, সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে ঠিক ভাবে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের বিধায়করা, তা তো এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলা দিবস প্রস্তাব পাস করা হয়। আর সেখানেই তার বিরুদ্ধে বলতে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন, ঠিক তখনই সরকারি বেঞ্চ থেকে এক তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “তুই বলার কে?” সাথে সাথেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলে ওঠেন, “তাই নাকি! তাই নাকি! আপনার নেতাকে হারিয়েছি। আপনি হরিদাস পাল। আমার বাড়ির নিচে বসে থাকতেন।” তবে পরিস্থিতি সামলাতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বলে ওঠেন, “বিরোধী দলনেতা আপনি বলে যান।” সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারী অধ্যক্ষকেও খোঁচা দিয়ে বলেন, “হ্যাঁ, আমি বলে যাই, আর উনি আমাকে হরিদাস পাল বলে যান।” তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পরবর্তীতে বিধানসভার অধ্যক্ষ “এই সমস্ত বিষয় বিধানসভার রেকর্ডে যাবে না” বলে জানিয়ে দেন। তবে বিধানসভার ভেতরে এই ধরনের ঘটনাচিত্র দেখে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় বিধায়কদের মধ্যে।

বিরোধীদের মতে, বিধানসভার এই দৃশ্য থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল, শুভেন্দু অধিকারীকে কতটা ভয় পেতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অধিবেশনে ক্যামেরা চলছে জন্য হয়ত বা অনেকটাই শান্ত দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু তিনি নিজের বিধায়কদের দিয়ে যে নির্লজ্জ রাজনীতির নজির পেশ করলেন রাজ্য বিধানসভায়, তা নিন্দার সব সীমাকে অতিক্রম করেছে বলে কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু অধিকারীকে যখন তৃণমূল বিধায়করা যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করছেন, তখন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিধায়কদের সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন।

অনেকে বলছেন, এটাও একটা মুখ্যমন্ত্রীর নাটক। কারন ওই একটাই। বিধানসভার অধিবেশনে আজকে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে। রাজ্যের মানুষ দেখছেন। তাই নিজের ভাবমূর্তি রাজ্যের মানুষের কাছে শান্ত ও সংযত রাখতে হবে, সেই কারণেই এই ধরনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এত কিছু করেও বিধানসভার ভেতরের পরিবেশকে শান্ত রাখতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষের কাছে একটা ধারণা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তৃণমূল বিধায়করা বিরোধীদের সামান্য বলতে পর্যন্ত দেন না। যে বিরোধী দলনেতা একজন পূর্ণ মন্ত্রী সমকক্ষ মর্যাদা পান, তাকে কিনা শেষ পর্যন্ত “তুই” বলে সম্বোধন! ফলে তৃণমূল বিধায়কদের এই আচরন সব সীমা লংঘন করেছে। এদিনের ঘটনার পর তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!