এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ত্বহা সিদ্দিকি এড়ালেন অধীর চৌধুরীর বৈঠক, বাড়লো জল্পনা

ত্বহা সিদ্দিকি এড়ালেন অধীর চৌধুরীর বৈঠক, বাড়লো জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মঙ্গলবার ফুরফুরা শরীফে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন ত্বহা সিদ্দিকী। তাঁর তুতো ভাই ইব্রাহিম সিদ্দিকীর সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনা হল অধীর চৌধুরী। এভাবে অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নানের বৈঠকে ত্বহা সিদ্দিকীর অনুপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়লো কংগ্রেসের। সেই সঙ্গে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা ছড়ালো রাজ্য রাজনীতিতে।

একটা সময় রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগ কংগ্রেসের হাতে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের বেশকিছু নির্বাচনে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক অনেকটাই মার খেয়েছে। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক ধরে রাখাটা দলের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই গতকাল মঙ্গলবার ফুরফুরা শরীফে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান। কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দলও তাদের সঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে পীর সাহেবদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু এই বৈঠকে ত্বহা সিদ্দিকী অনুপস্থিত ছিলেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই মনে করছেন যে, রাজ্য কংগ্রেসের এই দুই শীর্ষ নেতাকে কৌশলে এড়িয়ে গেলেন ত্বহা সিদ্দিকী। এদিকে গতকাল ইব্রাহিম সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক হলো অধীর চৌধুরীর । বৈঠকের পর তিনি জানান, ” ফুরফুরা শরিফ বাংলার ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের কাছে একটা পিঠস্থান ও তীর্থস্থান। সেই তীর্থস্থানের যাঁরা পরিচালক, তাঁদের কাছে এসে আমরা একটাই কথা বলেছি— বাংলার রাজনীতি ধর্মনিরপেক্ষ।” গতকাল অধীর চৌধুরী আরো জানালেন যে, কংগ্রেস ও বাম আগামী দিনে জোট করে নির্বাচনে লড়াই করবে। পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে মজবুত করার প্রয়োজন আছে। পীরজাদাদের কাছে আগামী নির্বাচনের জন্য দোয়া প্রার্থনা করলেন অধীর চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, গতকাল তাঁর ভাইপো আব্বাস সিদ্দিকীর উদ্দেশ্যে ত্বহা সিদ্দিকী বেশকিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। যেখানে পরোক্ষ ভাবে তিনি জানালেন যে, ভোটের নামে কুড়ি থেকে ত্রিশ কোটি টাকা তুলেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। এদিকে আব্বাস সিদ্দিকী তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে স্বরব হয়েছেন। অনেকে মনে করছেন যে, আব্বাস সিদ্দিকীকে রুখতে তৃণমূল ব্যবহার করছে ত্বহা সিদ্দিকীকে। গতকাল ধর্মীয় জলসা থেকে ত্বহা সিদ্দিকী জানালেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে। যদিও তিনি জানালেন যে, তৃণমূলের দালালী করতে তিনি আসেননি।

এদিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসন জেতার পর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এআইএমআইএম। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মিমের এই ঘোষণা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে কংগ্রেসের। একারণেই বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট রাখতে ফুরফুরা শরীফে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী।

এদিকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক এখনো শক্তিশালী আছে। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংখ্যালঘু ভোট এর কিছু অংশ এখনো বামের হাতে আছে। এই পরিস্থিতিতে মিম প্রার্থী দিলে সিপিএম ও কংগ্রেস দুই দলই সমস্যায় পড়তে পারে। তাই মিমকে কিভাবে রাখা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে কংগ্রেসে ও সিপিএম উভয়ের অন্দরেই। তবে, গতকাল অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নানের বৈঠকে ত্বহা সিদ্দিকির অনুপস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!