এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা সরকার ‘শিল্প বিরোধী’, বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে শিল্প নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নবান্নর !

মমতা সরকার ‘শিল্প বিরোধী’, বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে শিল্প নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নবান্নর !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলা শাসন ক্ষমতার হাতবদল ঘটেছিল। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের হাত ধরেই অপসারিত হয়েছিল চৌতিরিশ বছরের বাম সরকার। রাজ্যের মসনদে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন যে, এই সরকার শিল্প বিরোধী সরকার। অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিল্প আসেনি। এর ফলে বাড়ছে বেকারত্ব, পিছিয়ে পড়ছে রাজ্য।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, তাঁর সরকার কখনোই শিল্প বিরোধী সরকার নয়। সরকার সবসময়ই চায় যে, রাজ্যে শিল্প গড়ে উঠুক। কিন্তু সে শিল্প কখনোই যেন কৃষি ও কৃষকের সর্বনাশ না করে। কৃষি-শিল্প পরস্পর একে অপরের পরিপূরক হোক, কিন্তু কখনোই যেন একে অপরের পরিপন্থী না হয়। একজনের ক্ষতি করে যেন, আরেকজনের লাভ না করানো হয়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে শিল্পন্নোয়নের বিশেষ উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শিল্পপতিদের জন্য বিশেষ বার্তা দেয়া হলো সরকারের পক্ষ থেকে। যেখানে জানানো হলো, রাজ্যে শিল্প গড়তে চাইলে এখন থেকে সহজেই পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় জমি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা জানালেন যে, এবার থেকে রাজ্যের শিল্পের জন্য জমি পাওয়ার ব্যাপারটি আরো সহজ করে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করে দ্রুত জমি দেবার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিপূর্বে রাজ্যের শিল্পের জন্য জমি পেতে গেলে দু ধাপে আবেদন করতে হতো। আবেদন করার পর তার অনুমোদন পেতে অনেকটা সময় চলে যেত। ছোট, মাঝারি, বড় শিল্পের জন্য পৃথক জায়গায় পৃথকভাবে দরখাস্ত করতে হতো। আবার শিল্পের পরিকাঠামো নিয়ে অন্যত্র আবেদন করতে হতো। সমস্ত আবেদন ধাপে ধাপে অনুমোদনের পর তা চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছাতে অনেকটা সময় চলে যেত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের শিল্পন্নয়নে আগ্রহী শিল্পপতিদের জমি ও অন্যান্য বিষয় গুলিতে লাল ফিতের ফাঁস ঢিলে করতে হবে। সহজে ও দ্রুত ভাবে তাদের চাহিদা পূরণ করে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ মেনে কিছুটা দ্রুত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে, এবার থেকে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু হবার কারণে সমস্ত প্রক্রিয়া অনেকটা গতি পাবে বলে জানানো হল। রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, এবার থেকে ছোট, মাঝারি, বড় যেকোনো ধরনের শিল্পের জন্য এক জায়গা থেকেই জমি দেওয়া হবে। অর্থাৎ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমে গোটা প্রক্রিয়া হবে সহজ।

রাজ্যের যে সমস্ত স্থানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টেটে শিল্পের জন্য জমি আছে, তা হল বাঁকুড়াতে ১৮ একর জমি, হাওড়াতে ৩৫ একর জমি, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে আছে ৮৪ একর জমি, মুর্শিদাবাদে ১২৯ একর জমি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪৭৪ একর জমি, পশ্চিম বর্ধমানে ৩৮০ একর জমি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২২৭ একর জমি, হুগলিতে ১০ একর, আলিপুরদুয়ারে ৫৪ একর জমি। অর্থাৎ মোট আছে ১৪১১ একর জমি।

এগুলো ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায়ও শিল্পের মধ্যে জমি রয়েছে যেমন নদিয়ার হরিণঘাটা ও কল্যাণীতে ২০০ একর জমি, পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে আছে ৭৬০ একর জমি, পূর্ব মেদিনীপু্রের হলদিয়াতে আছে ২১৬ একর জমি, পুরুলিয়া্র রঘুনাথপুর ও জয়পুরে আছে ৩১৯৯ একর জমি, বাঁকুড়ার বড়জোড়া ও গঙ্গাজলঘাটিতে ৫৫ একর জমি, দক্ষিণ দিনাজপু্রের বালিরঘাটে আছে ৭ একর জমি ও ঝাড়গ্রামে আছে ১৯৩ একর জমি। অর্থাৎ, সবমিলিয়ে ৪৬৩০ একর জমি রাজ্য সরকার দিতে পারবে শিল্পপতিদের। রাজ্যের শিল্পন্নয়নের জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করায় রাজ্যের শিল্পায়ন কতটা দ্রুত হয় সেদিকেই দৃষ্টি সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!