এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মমতা ব্যানার্জিকে ‘বাঁচানোর’ পুরস্কার মিলল ২১ বছর পর! পুরোটা জানলে চমকে উঠবেন

মমতা ব্যানার্জিকে ‘বাঁচানোর’ পুরস্কার মিলল ২১ বছর পর! পুরোটা জানলে চমকে উঠবেন

ভালো কাজ করলে দেরীতে হলেও ভালো ফল মেলে আরও একবার প্রমাণ হতে চলেছে। একদা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ কর্তার নির্দেশ অমাণ্য করেই পুলিশের গুলি থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন পুলিশকর্মী সিরাজুল ইসলাম।  ঘটনা ১৯৯৩ সালের ২১ শে জুলাই সেদিন তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযান রুখতে শীর্ষকর্তাদের নির্দেশ অমান্য করে পুলিশের দিকেই বন্দুক তাক করেছিলেন এই পুলিশ কর্মী। তাঁর এই বিরোধীদের পক্ষ নেওয়া ভূমিকা তৎকালীন বাম সরকারের আমলে পুলিশের বড় কর্তাদের চোখ এড়ায়নি। এই কাজের জন্যে তাঁর তিরস্কারও কিছু কম হয়নি। তাঁর চাকরী চলে যায়। মামলা করেও কোনো প্রতিকার হয়নি  ১৯৯৬ সালে নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি ছাড়তে হয় উত্তর ২৪ পরগনা গোবরডাঙার সিরাজুল ইসলাম কে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সেই থেকে সাইকেলে করে মুদিখানার দ্রব্যাদি ফেরি করেই সংসার প্রতিপালন করে চলেছেন তিনি। অনটনের সংসারে এই ফেরি করার কাজই একমাত্র আয়ের উৎস। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য , ১৯৮৮ সালে ১৯ শে জানুয়ারি নিজের যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন সিরাজুল। তারপর ১৯৯৩ সালের ২১ শে জুলাই মহাকরণের নিরাপত্তার ডিউটি দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিমুখে মিছিল এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়।

ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে গেলেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে দলনেত্রীর। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষা করেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসআই নির্মল বিশ্বাস, সার্জেন্ট প্রদীপ সরকার ও কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম। এই তিনি জনকেই নানা কারণে চাকরী থেকে অপসারিত হতে হয়। এদের মধ্যে নির্মল বিশ্বাস  ১৮ বছর মামলা লড়ার পরে তাঁর চাকরী ফিরে পান। প্রদীপ সরকারকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়। আর সিরাজুল ইসলাম এতদিন পরে তঁর পুরস্কার হিসেবে বরখাস্ত হওয়া চাকরীতে পুনঃ নিয়োগ হতে চলেছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!