প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তার লড়াই ছিল প্রাক্তন নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে দেখাবেন। অবশেষে সেই চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন তিনি। বর্তমানে জল্পনা তৈরি হয়েছে, বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, এবার বিধানসভার ভেতরে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে চাপে রাখতে 77 টি আসন দখল করা বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যাপক কৌশল প্রয়োগ করা হবে।

এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের অন্যতম পীঠস্থান বিধানসভার অন্দরমহলে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি সঠিক নেতৃত্বকে সামনে রেখে তাদের লড়াই করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বিরোধী দল হিসেবে পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা সময় বলবে। কিন্তু তার আগে অতীতে তৃণমূল সরকারের সময় বিধায়ক হিসেবে মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার শুভেন্দু অধিকারী এবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন। আর শপথ নিয়েই জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে তার কাজ ঠিক কি হতে চলেছে।

বস্তুত, বৃহস্পতিবার শাসক-বিরোধী মিলিয়ে একাধিক বিধায়ক শপথ গ্রহণ করেন। যেখানে বেলা চারটের সময় বিধানসভায় প্রবেশ করে শপথ বাক্য পাঠ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের ভূমিকা কী হবে, তা জানিয়ে দেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষ যে লক্ষ্য নিয়ে 77 জনকে বিধানসভায় পাঠিয়েছেন, মানুষের সেই উদ্দেশ্য পূরণ করব।” অর্থ্যাৎ বিজেপি নেতার এই কথাতেই স্পষ্ট যে, আগামীদিনে বিধানসভার অলিন্দে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিভিন্ন ইস্যুতে তারা একচুল জায়গা ছেড়ে দেবে না।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিজেপি বর্তমানে বিরোধী দলে জায়গা পেলেও তারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ বিরোধী দলনেতাকে সামনে দাঁড় করিয়ে তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

আর এবার বিধানসভায় শপথ নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীর গঠনগত দিক থেকে লড়াইয়ের কথা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিধানসভার অলিন্দে বিজেপির বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনিই নেতৃত্ব দেন, নাকি তার কৌশলেই চলে বিরোধী দল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।