তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতার কাজিয়া তুঙ্গে, অথৈ জলে বউবাজারের ব্যবসায়ীরা, সরব বিরোধীরা উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 3, 2018 একজন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং তৃনমূল টাউন ব্লক প্রেসিডেন্ট এবং অপরজন শাসকদলেরই দাপুটে শ্রমিক নেতা। আর শাসকদলের এই দুই নেতার দ্বন্দ্বে এখন তুলকালাম অবস্থা জেলার। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নও। জানা গেছে, জলপাইগুড়ি শহরের 14 নং ওয়ার্ডের বউবাজার এলাকায় 13 বছর ধরে একটি অর্ধসমাপ্ত মার্কেট কমপ্লেক্স পড়ে থাকলেও এসজেডিএ তাঁর কাজ সমাপ্ত রেখেছে। আর তাই এহেন অবস্থায় জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন তৃনমূলেরই শ্রমিক নেতা বিকাশ মালাকার। আর এরপরই পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু দলেরই শ্রমিক নেতা বিকাশ মালাকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “উনি ওখানে বড় বড় ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা তোলেন। তাই তাঁর এব্যাপারে বড়বড় কথা বলার অধিকার নেই।” আর এরপরই তাঁদের নেতা বিকাশ মালাকারকে তোলাবাজ বলায় মঙ্গলবার বাস, অটো, টোটো চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি দোকনাপাট ও বন্ধ রাখা হয়। এমনকী পথও অবরোধ করা হয়। তবে শুধু জলপাইগুড়িই নয়, ডুয়ার্স, বানারহাট, চার্মুচিতেও বিক্ষোভ দেখান অসংগঠিত শ্রমিকরা। পোড়ানো হয় মোহন বসুর কুশপুতুলও। এদিন বিক্ষোভকারীদের পক্ষে এক গাড়ির চালক দুলাল চক্রবর্তী বলেন, “উন্নয়নের দাবি জানানোয় তা না মেনে আমাদের নেতা বিকাশ মালাকারকে অপমান করা আমরা মেনে নেব না।” এদিকে এদিন বিকাশ মালাকারও পাল্টা তোপ দেগেছেন চেয়ারম্যান মোহন বসুল বিরুদ্ধে। এদিন বিকাশ মালাকার বলেন,” মানুষ জানে যে আগে কে তোলা তুলত। এখন দলবদল করে সরকারি এসি গাড়ি চড়ে বেড়ান বলে মানুষ কিছুই ভুলে যায়নি।” অন্যদিকে মোহন বসু অবশ্য তাঁর আগের মন্তব্যেই অটল রয়েছেন। আর দলের এই দুই নেতা যে ইস্যুতে গন্ডগোব করছেন সেই বউবাজারের উন্নয়নে দৃষ্টি নেই কারোরই। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। তবে তৃনমূলের দুই নেতার এহেন দ্বন্দ্ব নিয়ে জেলা তৃনমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এইভাবে টাউন সভাপতির কুশপুতুল পোড়ানো দলবিরোধী কাজ।শ্রমিক নেতাকে এব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে আমি সবই রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” এদিকে চেয়ারম্যানের কুশপুতুল পোড়ানোয় বুধবার পুরসভার কর্মীরা কালো ব্যাচ পড়ে প্রতিবাদ জানান। বের করা হয় একটি ধিক্কার মিছিলও। অন্যদিকে তৃনমূলের দুই নেতার এই দ্বন্দ্বে ফায়দা তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। এদিন জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক বাপি গোস্বামী হালকা কৌতুকের স্বরে বলেন,” তোলাবাজিতে কেউ কারও থেকে কম নয়। একেই বলে শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি।” আর সিপিএমেরে কাউন্সিলল প্রমোদ মন্ডল বলেন,'”নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে এই বাজারের কাজটি শেষ করার দিকে মনযোগী হওয়া উচিত চেয়ারম্যানের।” তবে যে যাই বলুক না কেন! দুই নেতার প্রকাশ্যে এহেন কাদা ছোড়াছুড়িতে যেমন প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস, তেমনি সমানভাবে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নের কাজও। আপনার মতামত জানান -