চাকরি দেবার নাম করে ঘুষ নিয়ে গ্রেফতার দুই নবান্নের কর্মী ,জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা চাকরি রাজ্য September 8, 2018 চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা খবর যেন এখন আম বাত হয়ে গিয়েছে রাজ্যবাসীর কাছে। তবে সম্প্রতি এই ধরণের প্রতারণার ভুরি ভুরি খবর সামনে আসছে। বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে যুবক যুবতীরা ভরসা করে ফেলছেন প্রতারকদের। অভাবের সঙ্গে মোকাবিলা করতে মোটা টাকার বিনিময়ে একটি চাকরি পাওয়ার সু্যোগ থেকে বঞ্চিত হতে চান না তাঁরা। আর এখানেই ঝোপ বুঝে কোপ দিচ্ছে প্রতারকরা। একটি চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকা দাবী করে বসছে তারা। সাধ্যের বাইরে হলেও যে কোনো উপায়ে সে টাকা জোগাড় করে প্রতারকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে ভুক্তভোগীরা। কিন্তু টাকার বিনিময়েও মিলছে না চাকরি। টাকা হাসিল করা হয়ে গেলেই প্রতারকরা নিমেষেই ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। এই খবর যেন রোজনামচায় পরিনত হয়েছে এখন। তবে অবাক করার মতো বিষয় হল, এবার এরকম প্রতারণা কান্ডে নাম জড়ালো খোদ দুই নবান্ন কর্মীর।জানা যাচ্ছে ওই দুজনই স্বরাষ্ট্রদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। একজন স্বরাষ্ট্রদপ্তরের কনস্টেবল এবং অপরজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তবে তাদের নাম এখনো জানা যায়নি। এদিন পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে লালবাজারের অপরাধ দমন শাখার হাতে তুলে দেয়। এখবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় নবান্নের অন্দরে। উদ্বিগ্ন রাজ্যের শাসকদলও। সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, দুই মৃত ব্যক্তির আত্মীয় চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের আবেদনের ফাইল ইচ্ছে করে গোপন করেন ওই দুজন ধৃত নবান্ন কর্মী, এমনটাই অভিযোগ। দ্রুত চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকাও দাবী করা হয় মৃতের আত্মীয়দের কাছ থেকে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু টাকা পকেটস্থ করে ফেলেছিলেন তারা। তার মধ্যেই টাকা লেন দেনের পুলিশের কাছে খবর পৌছায়। হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাদের। তারপরই তাদের তুলে দেওয়া হয় লালবাজারের অপরাধ দমন শাখার হাতে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়ের যাতে দ্রুত চাকরি পান সেটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যসচিব মলয় দে। তবে ঘুষকান্ডে নবান্ন কর্মীরা জড়িত এ খবর সামনে আসার পর বিরোধীরা তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নেই এসব দুর্নীতিমূলক কান্ড হচ্ছে, অথচ মুখ্যমন্ত্রী কিছু জানতে পারছেন না এটা কীভাবে সম্ভব? দফায় দফায় প্রশ্নের ঝড় তুলছে বিরোধীরা। যদিও এর জবাব এখনো পাওয়া যায়নি নবান্ন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। আপাতত মুখে কুলুপ এঁটে আছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -