এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনার নতুন স্টেনের সঙ্গে কতটা লড়াই করতে পারবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন? জেনে নিন গবেষকদের রিপোর্ট

করোনার নতুন স্টেনের সঙ্গে কতটা লড়াই করতে পারবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন? জেনে নিন গবেষকদের রিপোর্ট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ একযোগে বের করেছে করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন। ভারত ছাড়াও পৃথিবীর একাধিক দেশ কোভ্যাক্সিনকে ব্যবহার করেছে তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে। ব্রাজিলের মতো উন্নত দেশও আমদানি করেছে কোভ্যাক্সিন ভারতের কাছ থেকে। এখনো পর্যন্ত দেশে ও দেশের বাইরে ২ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি ডোজ কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন মেলেনি কোভ্যাক্সিনের। তবে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর অনুমোদন পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এই পরিস্থিতিতে কোভ্যাক্সিনকে নিয়ে একটি বিরাট সুখবর জানালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ।

আজ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ বা এনআইএইচ এর পক্ষ থেকে এক গবেষণায় জানানো হয়েছে যে, করোনার নতুন স্টেইনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে কোভ্যাক্সিন। করোনার নতুন স্টেন আলফা ও ডেল্টাকে রুখে দেবার ক্ষমতা রাখে কোভ্যাক্সিন। কোভ্যাক্সিন দেবার পর কিছু ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে জানা গেছে যে, কোভ্যাক্সিন নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে আলফা ও ডেলটাকে। কোভ্যাক্সিনের মূল উপকরণ হলো অ্যাডজোভ্যান্ট। যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। কোভ্যাক্সিনে করোনাভাইরাসকে অ্যাডজোভ্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কিন্তু কখনোই বংশবিস্তার করতে পারে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রতে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় ট্রায়াল শেষ হল। এই বছরের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতি আজ আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনা আক্রান্ত যে সমস্ত মানুষের দেহে করোনার উপসর্গ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি ৭৮% কার্যকরী, যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের ক্ষেত্রে এটি ১০০% কাজ করে থাকে, আবার উপসর্গহীন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ৭০ % কাজ করে থাকে।

আবার,কোভ্যাক্সিনের মূল উপাদান অ্যাডজোভ্যান্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিরোভ্যাক্স সংস্থা প্রস্তুত করেছে। যে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক সুনীল ডেভিড। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউসি আজ জানিয়েছেন যে, বিশ্বের এই মহামারীকে রোধ করতে হলে বিশ্বের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি আনন্দ বোধ করছেন যে, ভারতে যে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার অ্যাডজোভ্যান্ট তৈরি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠান, তার প্রতিষ্ঠাতা একসময় এই সংস্থার কর্মী ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সিনকে নিয়ে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তা আশার আলো দেখিয়েছে বহু ভারতবাসীকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!