রথযাত্রার পাল্টা দিতে আসরে তৃণমূল, জেনে নিন কি জাতীয় রাজ্য November 17, 2018 লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় এখন বিজেপির রথযাত্রা নিয়েই প্রবল রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত শাসকদল তৃণমূল এবং সেই বিজেপির মধ্যে। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু এই “গণতন্ত্র বাঁচাও” নামক রথযাত্রার এখন থেকেই জোর প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। কেউ সেই রথ আটকালে তাদের যে সেই রথের চাকায় পিষে মারা হবে একথা বলে তীব্র বিতর্ক বাড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপির দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসুরা। তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে বিরোধীদলকে সহানুভূতি দেখালেও তিনি যে অতটা উদার নন তা বলে কদিন আগেই সেই বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন পরিস্থিতিতে আসন্ন বিজেপির এই রথযাত্রায় গেরুয়া শিবিরের নেতারা যে জোর করে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে তা বুঝতে দেরি করেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ মমতা জানেন যে, দলের কর্মীরা যদি বিজেপির এই রথ আটকে দাড়ায় তাহলে সংঘাত আরও বাড়বে। আর তহলেই বিজেপি নেতারা রোজ জোর করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে লোকসভার আগে বলার চেষ্টা করবে যে, রাজ্যের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। কিন্তু বিজেপিকে এই সুযোগ যে কিছুতেই দেওয়া যাবে না, সেই জন্য গতকাল দলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক সতর্কবার্তা জারি করে দিলেন সেই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে দলের এক বর্ধিত সভায় সেই বিজেপির রথযাত্রার পরের দিনই পাল্টা দলীয় কর্মীদের এক কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু কি সেই নির্দেশ? এদিনের এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির ওটা রাবণ যাত্রা। আর ওই রাবণ যাত্রার ঠিক পরের দিনই জায়গাটাকে শুদ্ধ করতে ওই একই পথে তৃণমূলের কর্মীরা পবিত্র যাত্রা, একতা যাত্রা ও শান্তি যাত্রা করবে।” পাশাপাশি এ দিনের সভা থেকে বিজেপির এই রথকে ফাইভ স্টার হোটেল বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন তিনি বলেন, “ওটা তো রথ নয়, ওটা বিলাসবহুল ফাইভ স্টার হোটেল। ওখানে থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা করেছে ওরা। আমি কর্মীদের বলছি, ওদের রথযাত্রার দিন আপনারা কোনো গোলমালে যাবেন না।” এদিকে বিজেপির এই রথযাত্রার পরের দিন পাল্টা তৃণমূলের পবিত্র যাত্রা প্রসঙ্গে এদিন সেই শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপির নেতারাও। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল ঘাবড়ে গেছে। তাই দিদি পাল্টা যাত্রার কথা বলছেন। কিন্তু পবিত্র যাত্রা করতে গেলে মন পবিত্র রাখতে হবে। সেটা কি তৃণমূলের কারো রয়েছে!” একই কথা বলে তৃণমূলের এই পবিত্র যাত্রাকে শ্মশানযাত্রা বলে অভিহিত করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা। সব মিলিয়ে এক দিকে বিজেপির রথযাত্রা আর অন্যদিকে তৃণমূলের পবিত্র যাত্রা এই দুইয়ের ঠেলায় আগামী ডিসেম্বর থেকে এই রাজ্য রাজনীতি ঠিক কোন অভিমুখ নেয় সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -