এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে চাপে পড়তেই বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হল কড়া নির্দেশ!

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে চাপে পড়তেই বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হল কড়া নির্দেশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল‌। যে ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দল থেকে শুরু করে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তির মুখে পড়ে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের শাসক দল বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ঘটনাকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের সক্রিয় পদক্ষেপ এবং মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর যে আক্রান্তের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, তার সত্যতা যাচাই করতে উদ্যোগী হয় আদালত।

আর আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার কথা তুলে ধরে কলকাতা হাইকোর্টে নিজেদের রিপোর্ট পেশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যে রিপোর্টে রাজ্যের হিংসার কথা যেমন উঠে এসেছে, ঠিক তেমনই প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, একাধিক জেলার শাসক দলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীদের নামও সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে। যার জেরে ব্যাপক ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট কোনোভাবেই মানতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার সেই রিপোর্টে সত্যতা যাচাই করতে সমস্ত জেলার পুলিশ কর্তাদের বড়সড় নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা। যেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। অর্থাৎ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করার পর থেকেই যেভাবে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা যে সত্য নয়, সেই ব্যাপারে দাবি করে আসছে রাজ্যের শাসক দল। এক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক চক্রান্ত করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিকভাবে সেই রিপোর্টে সত্যতা কতটা, তা নিজের প্রশাসনকে দিয়ে খবর নেওয়ানোর কাজ শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট যদি কড়া পদক্ষেপ নেয়, তাহলে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে যাবে রাজ্য সরকার। তাই কমিশনের সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাই আদালতের পক্ষ থেকে বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই নিজের প্রশাসনকে দিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখিত রাজ্যের হিংসার ঘটনার কথা কতটা সত্যি, তা জানার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট কোনোমতেই মানতে চাইছে না রাজ্য প্রশাসন। এক্ষেত্রে সেই রিপোর্টে হিংসার ঘটনার কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে, ঠিক তেমনই উত্তর 24 পরগনা থেকে শুরু করে কোচবিহারের অনেক দাপুটে তৃণমূল নেতাদের নাম সেখানে উঠেছে। যেখানে তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই এতদিন বিরোধীরা যে অভিযোগ করেছে, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে সেই অভিযোগ উঠে আসায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট কোনোভাবেই একটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। সেদিক থেকে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপির এর পেছনে ইন্ধন রয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরের একাংশকে।

তাই এবার মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট যখন তাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে, তখন নিজেদের যুক্তি হাইকোর্টের সামনে পেশ করতেই কি যে সমস্ত জায়গা নিয়ে কমিশনের রিপোর্টে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই জায়গার গ্রাসরুট সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করল নবান্ন? অর্থাৎ এখন থেকেই সমস্ত জেলার প্রশাসনের মধ্যে দিয়ে সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি কি, তা তুলে এনে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের পাল্টা রিপোর্ট তৈরি করে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে রাজ্য প্রশাসন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, স্বরাষ্ট্রসচিবের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্তা

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!