প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় জয়লাভের পর এবার দেশ দখলের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের একাজে বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠেছেন প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি, বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একটা মঞ্চবাঁধার কাজে লেগে পরেছেন তিনি। এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে যেমন তিনি বৈঠক করেছেন, তেমনি বৈঠক করেছেন তিনি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। আবার এমাসেই দিল্লি যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লি সফরকালে একাধিক বিরোধী নেত্রীর সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন বলে জল্পনা বাড়ছে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করা ও সাফল্য পাওয়া যে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য, তা অস্বীকার করার উপায় নেই বিরোধীদের। কিছুদিন আগেই শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছিলেন যে, নরেন্দ্র মোদি নামটাই যথেষ্ট। তাঁকে পরাজিত করতে গেলে বিশেষ মুখের প্রয়োজন হবে। বিরোধীদের আশা একটাই, বিজেপির সঙ্গে এক সময় কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে তিনি কাজ করেছিলেন। আবার একসময় নীতীশ কুমারের দলেও কাজ করেছিলেন তিনি।

একারণে প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি সম্পর্কে তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সর্বভারতীয় একটি চ্যানেলে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শক্তি অনেক, যা নিয়ে কেউ একটা বই পর্যন্ত লিখে ফেলতে পারবেন। তবে তাঁকে যদি এক লাইনের মধ্যে এর উত্তর চাওয়া হয়, তবে তিনি বলবেন, ব্যাপক অভিজ্ঞতা হলো তাঁর প্রধান শক্তি। সম্প্রতি, ভারতের রাজনীতিবিদদের কাছে যা দুর্লভ।

প্রশান্ত কিশোর আরও জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রচারকের হয়ে কাজ করেছিলেন। তাই নিচুতলার মানুষের সঙ্গে মিশে ছিলেন তিনি। তাদের মন বুঝতে তাঁর কোনো বিকল্প নেই। এরপর রাজনীতিতে এসে ১৫ বছর সুযোগ পেয়েছেন তিনি রাজনীতিকে বোঝার। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৫ বছর তিনি কাটিয়েছেন। যা একটি বিরাট অভিজ্ঞতা। খুব কম মানুষের এই সুযোগ মেলে।

প্রশান্ত কিশোর আরও জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যদি কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়, তবে বোঝা যাবে, কতটা কাছের মানুষ তিনি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে বড় একটি গুণ হলো, তিনি হলেন খুব ভালো শ্রোতা। এরপর প্রশান্ত কিশোরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রীর দুর্বল দিক কোনটি? এর উত্তরে তিনি জানান, এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তিনি নিতান্তই যুবক।

তবুও বারবার প্রশ্নর উত্তরে তিনি একটা কথাই বলতে পারেন যে, নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদি যদি আরও উদার হতে পারতেন। এখানেও তিনি জানাতে চাইছেন উদার বলতে ভালো ক্ষমাশীল হওয়া বা কোন খারাপ জিনিস দ্রুত ভুলে যাবার ক্ষমতা, এমন ধরনের কোন গুণের কথা বলতে চান তিনি। প্রসঙ্গত, বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নানাভাবে কটাক্ষ করা হলেও, তাঁর জনপ্রিয়তা যে এখনো যথেষ্ট রয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর এই জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করা সহজ ব্যাপার যে নয়, তাও অনস্বীকার্য।