আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় বিজেপির রথযাত্রা বাতিল হলেও বীরভূম জেলা জুড়ে অনুব্রত মণ্ডলের খোল- সংকীর্তনে বাধা নেই! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য December 17, 2018 আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিজেপির রথযাত্রাকে বিশবাঁও জলে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু বিজেপির এই রথযাত্রা স্তব্ধ হলেও পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী নিজের অবস্থানেই অনড় থাকলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কেননা কদিন আগেই বিজেপি রথযাত্রার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে খোল করতাল নিয়ে জেলা জুড়ে মিছিল করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় “কেষ্ট”। 14 ই ডিসেম্বর তারাপীঠ থেকে বিজেপির অমিত শাহের রথযাত্রার সূচনা করা দিনই এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেইমতো জেলার সিংহভাগ ব্লকেই তৃনমূলের পক্ষ থেকে খোল করতালও বিলি করা হয়। ইতিমধ্যেই 4000 খোল ও 8000 করতাল বিল করা হয়েছে। কিন্তু আইনি জটের জেরে সেই বিজেপির রথযাত্রা আটকে গেলেও এদিন জেলাজুড়ে শাসকদলের নেতাকর্মীরা নিজেদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী কীর্তন নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। যেখানে খোল-করতাল সহযোগীর মিছিল করতে দেখা যায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি থেকে জেলা পরিষদের সদস্যদের। কড়িধ্যার ব্লক অফিসের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বেরিয়েছিলেন সিউড়ি 1 ব্লকের তৃণমূল সভাপতি স্বর্নশঙ্কর সিনহা। অন্যদিকে একইভাবে মিছিল নিয়ে রাস্তায় বেরোতে দেখা যায় সিউড়ি 2 ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলামকেও। তবে শুধু মূল সংগঠনই নয়, রাজনগরে তৃনমূল কংগ্রেসের ক্ষেতমজুর সংগঠনের ব্লক সভাপতি সুকুমার সাধুর উদ্যোগেও এদিন এই কীর্তন মিছিল বের হয়। লাভপুরে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার আপ্তসহায়ক অভিজিৎ সিংয়ের উপস্থিতিতে একটি হনুমান মন্দিরেরও প্রতিষ্ঠা করা হয় এদিন। কেন হঠাৎ এই মন্দির স্থাপন? এদিন এই প্রসঙ্গে লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শোভন চৌধুরী বলেন, “দুষ্কৃতীরা মন্দিরটি ভেঙে দিয়েছিল। তাই আমরা আবার নতুন করে সেটা প্রতিষ্ঠা করলাম।” কিন্তু যে বিজেপির রথযাত্রার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে তৃণমূলের এই কৃত্তন যাত্রা – সেই বিজেপির রথযাত্রাই তো আটকে গেল, তাহলে কেন তারা সেই কীর্তন যাত্রায় শামিল হলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বীরভূম নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান। এখানে তো হরিনাম হবেই। আর অগ্রহায়ণ মাসে তো কোন রথযাত্রা হয় না। তাই ওটা শেষ যাত্রা হবে। রথ আষাঢ় মাসে বেরোয়।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে তৃণমূলের এই হরিনাম সংকীর্তন ও মন্দির স্থাপন নিয়ে তাঁদের কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “অনুব্রতর বাহিনীকে হরেকৃষ্ণ হরেরাম বলাতে একমাত্র বিজেপি পেরেছে। রাম নাম ছাড়া যে ওদের গতি নেই তা ওরা বুঝতে পেরেছে।” সব মিলিয়ে এবার বিজেপির রথযাত্রা বাতিল হলেও কৃষ্ণনাম দিয়ে বীরভূমকে মাতিয়ে রাখতে চাইছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের “কেষ্ট”। আপনার মতামত জানান -