এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পরে রয়েছেন তৃণমূল নেতার মা? ফিরে তাকানোরও কেউ নেই? তীব্র চাঞ্চল্য

রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পরে রয়েছেন তৃণমূল নেতার মা? ফিরে তাকানোরও কেউ নেই? তীব্র চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাস্ত্রে বলা হয় “পিতাবাং মাতা গরীয়সী” একজন সন্তানের জীবনে পিতা অপেক্ষা মাতার ভূমিকা অনেক বেশি। সন্তানের আশ্রয়স্থল যেমন মা, তেমনি ভাবে মায়ের প্রতিও সন্তানের দায়িত্ব, কর্তব্য থাকে। ছেলেবেলায় একজন মা যেমন তাঁর সন্তানকে প্রতিপালন করেন, তেমনি সেই মায়েরও অধিকার থাকে বৃদ্ধাবস্থায় সন্তানের কাছ থেকে উপযুক্ত সেবা পাওয়ার ।

কিন্তু সম্প্রতি দুই প্রতিষ্ঠিত সন্তানের বৃদ্ধা মাকে অসুস্থ, অবহেলিত অবস্থায় প্রায় অর্ধনগ্ন ভাবে পথে পড়ে থাকতে দেখা গেল। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেল। ধিক্কার ও নিন্দা জুটলো এই অভাগা মায়ের দুই প্রতিষ্ঠিত ছেলের।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ৮০ বছর বয়স্ক মঞ্জিত কৌরর দুই ছেলে । তাঁর বড় ছেলে আবগারি বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা, যার নাম বলবিন্দর সিং। এবং তাঁর ছোট ছেলে যার নাম রাজেন্দ্র সিংহ রাজা, তিনি একজন বড় তৃণমূল নেতা। এমনই দুই ছেলে চরম প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের ৮০ ঊর্ধ্ব বৃদ্ধা মাকে অসুস্থ এবং প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় পথের ধারে পাওয়া গেল। বৃদ্ধাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মানুষ প্রথমে প্রশাসন ও পরে এনজিওকে ব্যাপারটি জানান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শেষ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টাতেই অসুস্থ মঞ্জিত কৌরকে গুরু গোবিন্দ সিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়। আর এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের ছবি ছড়িয়ে পড়লে, নিজেদের বদনামের হাত থেকে রক্ষা করতে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে উপস্থিত হতে দেখা যায় বৃদ্ধার ওই দুই সন্তানকে।

এর পর হাসপাতাল থেকে বৃদ্ধাকে বাড়ি আনার পর গত ১৬ ই আগস্ট রাতে অসুস্থ বৃদ্ধা প্রাণ ত্যাগ করেন। অভিযোগ উঠেছে মায়ের মৃত্যুর পরও অত্যন্ত গোপনে তারা সেরাতেই তাদের মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্ত কিছু জেনেও সমাজের দুই প্রভাবশালীর সঙ্গে সংঘাতে যেতে সাহস পাননি।

যদিও এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছিল, কিন্তু বৃদ্ধার এক নাতনি পুলিশের প্রথম সারির উচ্চপদস্থ অফিসার হায়ায় ছেদ পরে তদন্তে। সম্পূর্ণ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রথম প্রথম থেকেই তৎপর বৃদ্ধার দুই পুত্র। এ প্রসঙ্গে তারা জানিয়েছে, তাদের বাড়িতে বিশেষ কিছু সমস্যা থাকার কারণেই তারা তাদের মায়ের দেখভালের দায়িত্ব তাদের এক বিশেষ পরিচিত ব্যক্তির হাতে দিয়েছিলেন। তবে সময় করে তারা তাদের মাকে নিয়মিত দেখতে আসতেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!