এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হায় রে, কি দুর্দিন তৃনমূলের! বঙ্গ বিজেপিকে চাপে রাখতে শেষমেষ এই প্রচার!

হায় রে, কি দুর্দিন তৃনমূলের! বঙ্গ বিজেপিকে চাপে রাখতে শেষমেষ এই প্রচার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নরেন্দ্র মোদীর গোটা দেশজুড়ে ব্যাপ্তিতে কিছুটা হলেও চিন্তাশীল, তাতে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে বঙ্গ বিজেপিকেও যে এতটা ভয় পেতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা সত্যিই কল্পনা করতে পারেননি অনেকেই। কিন্তু বুধবার দিনভর একাংশ মিডিয়াতে যে খবর তৃণমূলের একাংশ প্রচার করতে শুরু করেছে, তা দেখে সত্যিই করুনা হচ্ছে বিজেপির। তাদের দাবি, শেষমেশ এই প্রচারে নামতে হলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কবে বিজেপিতে ছিলেন চন্দ্র বসু, আর কবেই বা তিনি বিজেপি ত্যাগ করলেন, তা সত্যিই অনেক তাবড় তাবড় সাংবাদিকরাও মনে করতে পারছেন না। তবে বুধবার তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে চিঠি দিয়ে নাকি জানিয়েছেন, তিনি দলত্যাগ করছেন। ফলে এই বিষয়টিকে নিয়ে দিনভর প্রচার তৃণমূলের ভোঁতা বুদ্ধির পরিচয় বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।

প্রসঙ্গত, বুধবার সংবাদমাধ্যমে ভেসে ওঠে যে, চন্দ্র বসু ভারতীয় জনতা পার্টি ত্যাগ করেছেন। যেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে তিনি বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়তে চান বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তার দাবি যে, বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তাই তার পক্ষে বিজেপি দল করা সম্ভব নয়। কিন্তু এখানেই একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই কি আদৌ বিজেপিতে ছিলেন চন্দ্র বসু! কারণ তাকে তেমন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দীর্ঘদিন ধরেই দেখা যায়নি। তিনি যোগদান করেছিলেন একসময় বিজেপিতে, একথা সত্যি। তবে তারপর ধীরে ধীরে লাইমলাইটের বাইরে বেড়িয়ে যান এই ব্যাক্তি।

বিজেপির দাবি, ভারতবর্ষে চন্দ্রযান নিয়ে, তার সাফল্য নিয়ে প্রচার হচ্ছে। আর সেখানে এই বিষয় নিয়ে প্রচার সত্যিই অমূলক এবং অপ্রাসঙ্গিক। এতদিন বিজেপিতে থেকেও ছিলেন না চন্দ্র বসু। আর এবার তিনি এমনিতেও থাকছেন না এমনিতেও থাকবেন না। সুতরাং, তাকে নিয়ে যে বিজেপি মোটেই চিন্তিত নয়, তা এক কথায় স্পষ্ট।পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা আসলে তৃণমূলের ভাসিয়ে দেওয়া প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক ঘটনায় রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল ফাসতে শুরু করেছে। তাই এই ধরনের ছোটখাট খবরকে সামনে এনে বঙ্গ বিজেপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল।

তবে এক ব্যক্তি, যিনি বিজেপিতে আদৌ ছিলেন কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্নের বিষয়! এমনকি তাবড় তাবড় বিজেপি নেতারাও শেষ কবে চন্দ্র বসুকে দেখেছেন, তাও মনে করতে পারছেন না, সেই রকম একজন ব্যক্তিকে নিয়ে তৃণমূল প্রচার করবে, তা অন্তত বিজেপির কাছেও কাঙ্ক্ষিত ছিল না। তাই তৃণমূলের এই প্রচার যে হাসঝাড়ু ছাড়া আর কিছুই নয়, তা তো বলাই যায়। অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!