এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস >  ‌”বিষধর সাপ” তৃনমূলের সঙ্গে ঘর নয়, দলকে বার্তা দিয়ে ফের বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা!

 ‌”বিষধর সাপ” তৃনমূলের সঙ্গে ঘর নয়, দলকে বার্তা দিয়ে ফের বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপিকে আটকাতে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস এবং তৃণমূল একত্রিত হয়ে থাকলেও, বাংলায় সেই তৃণমূল যে কংগ্রেসকে শেষ করে দেবে, তা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন কৌস্তভবাবু। যা নিয়ে দলকে সতর্কও করেছিলেন তিনি। ফলস্বরূপ তাকে দলীয় মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এবার ঝালদা পৌরসভা কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলো তৃণমূল। যার পরেই আবারও দলকে বার্তা দিয়ে নিজের বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। আর যাই হোক, কোনো মতেই তৃণমূলের সঙ্গে যে ঘর করা উচিত হবে না এবং তা করলে যে এভাবেই কংগ্রেস শেষ হয়ে যাবে, তা স্পষ্ট করলেন তিনি। তবে তার এই কথা কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কানে কতটা পৌঁছবে এবং পৌঁছলেও তা তারা গ্রহণ করবেন কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, বহু লড়াই করে ঝালদা পৌরসভা নিজেদের দখলে রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে দল ভাঙিয়ে তৃণমূল বোর্ড নিজেদের দখলে নিয়ে চলে এলো। আর তারপরেই দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সোচ্চার হলেন কৌস্তুভ বাগচী। তিনি বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে ঘর করা আর বিষধর সাপের সঙ্গে ঘর করা একই ব্যাপার। এভাবেই যদি তৃণমূলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব কাজ করে, তাহলে বাংলায় কংগ্রেস অন্ধকারের মুখে চলে যাবে। আর আমরা একথা বললেই আমাদের মুখপাত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে আমি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলছি এবং বলব। দল এই ঝালদার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিক।”

একাংশের মতে, কৌস্তভবাবুর এই বক্তব্যের সঙ্গে বাংলার অনেক তৃণমূল বিরোধী কংগ্রেস নেতারাও সহমত পোষণ করছেন। কিন্তু ওপরতলার শীর্ষ নেতৃত্বের কারণে তাদের পক্ষে কিছুই করার নেই। কেননা বৃহত্তর রাজনীতির স্বার্থে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গঠন করে বিজেপিকে সরাতে রণকৌশল তৈরি করছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা। কিন্তু বাংলায় যে সেই তৃনমূলের হাতেই ক্রমাগত আক্রান্ত হচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা, সেদিকে তাদের মনোযোগ নেই। তাই ভবিষ্যতে কৌস্তভবাবুর মত কট্টর তৃণমূল বিরোধী নেতারা দলে কোনঠাসা হতে হতে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লিতে পাশাপাশি এক টেবিলে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীরা ডিনার করবেন। আর বাংলায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা কর্মীরা কংগ্রেস কর্মীদের মেরে হাসপাতালে ভর্তি করবেন, দুটো একসাথে চলতে পারে না। তাই দলের এই দুরাবস্থা দেখে ঝালদা পৌরসভা তৃণমূল দখল করার পরেই আরও একবার দলকে সতর্ক করলেন কৌস্তভ বাগচী। কিন্তু দেশের ক্ষমতা দখলের স্বার্থে মেতে উঠেছে কংগ্রেস। তাই পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীদের প্রাণপণ চিৎকার গান্ধী পরিবারের কানে পৌঁছবে কিনা, এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!