এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কোভিশিল্ড নাকি কোভ্যাকসিন কোনটা? কতদিনে মিলবে ভ্যাকসিনের ফল? কতই বা সুরক্ষা? আসুন দেখেনি একনজরে

কোভিশিল্ড নাকি কোভ্যাকসিন কোনটা? কতদিনে মিলবে ভ্যাকসিনের ফল? কতই বা সুরক্ষা? আসুন দেখেনি একনজরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাল শুরু ভ্যাকসিন দেওয়া। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে ভ্যাকসিন, প্রস্তুতি তুঙ্গে। নতুন বছরের শুরুতেই খুশির খবর নিয়ে এসেছে ভ্যাকসিন। প্রায় এক বছর করোনা আতঙ্কে কাটানোর মধ্যে, মানুষ একান্ত ভাবে অপেক্ষা করেছে ভ্যাকসিনের। তবে আর ২৪ ঘণ্টার পরই শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। আসুন দেখেনি একনজরে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ইতিমধ্যে ভারতে অনুমোদন পেয়েছে দুটি ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন এদের মধ্যে একটি হলো সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড আর আরেকটি ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাকসিন। তবে ভ্যাকসিন এখনো তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আছে। ফলত অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে তারা কোন ভ্যাকসিন পাবেন কিংবা যে ভ্যাকসিন পাবেন তা তারা নিজেরা বেছে নিতে পারবেন কিনা। তবে এ ব্যাপারে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যারা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন তারা এই দুটি ভ্যাকসিন এর মধ্যে কোনটা পাবেন সেটা নিজেরা বেঁছে নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে পৃথিবীর বহু দেশেই একাধিক ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে নাগরিকদের দেওয়ার জন্য এবং সেখানে কোন ভ্যাকসিন গ্রহণকারী তার পছন্দের ভ্যাকসিন পাচ্ছেন তা বেছে নিতে পারছে না।

বছরের প্রথম দিনই বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই বৈঠকের পরই, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই বিশেষজ্ঞ কমিটি অনুমতি দায় ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিন কে। অবশেষে ৩রা জানুয়ারি, ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের তরফে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়ে এই দুই ভ্যাকসিন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউট এর কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাকসিন দুটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই, দুটি করে ডোজ দিতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে, ভ্যাকসিন কার্যকর হতে সময় লাগবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর আরও ১৪ দিন। অর্থাৎ প্রথম ডোজ থেকে দেড় মাসের পর ভ্যাকসিন কর্যাকর হবে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। ফলত, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও, কোভিড ১৯ সম্পর্কিত সমস্ত সতর্কতা বিধি মেনে চলতে হবে।

ভ্যাকসিনের সুরক্ষার ব্যাপারে বলতে গিয়ে নীতি আয়গ এর তরফে জানানো হয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউট এর কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাকসিন এর সুরক্ষা বিধির ব্যাপারে তাদের কোনো সংশয় নেই। আরও বলা হয়, এই ভ্যাকসিন দুটি কয়েক হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে এবং তাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নগণ্য।

প্রসঙ্গত উল্লখ্য, অক্সফোর্ড -অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে প্রস্তুত করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরাম ইনস্টিটিউট এর তৈরি এই ভ্যাকসিন “কভিসিল্ড” নামে ভারতের বাজারে আসবে। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের পর ৭০% কার্যকর বলা হলেও, ইতিমধ্যে সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন ৯২-৯৫% কার্যকর এবং কোরোনা ভাইরাসের দ্বারা গুরুতর ভাবে আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচাতে ১০০% কার্যকর। ভারত বায়োটকের তৈরি কোভ্যাকসিন এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা বিষয়ে কোনো তথ্য সামনে আসেনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!