ক্ষমতায় এসেই অবদান ভুললেন মমতা, বড় মাশুল চোকাতে হবে তৃনমূলকে! ‘বর্বর’ আখ্যা শুভেন্দুর! তৃণমূল বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য September 7, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ক্ষমতা পেয়ে নিজের অতীত ইতিহাস ভুলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময় যে নন্দীগ্রামে শিশির অধিকারীর হাত ধরে প্রবেশ করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, এবার সেই শিশির অধিকারীর গাড়িতেই পাথর ছুড়ে আক্রমণ করলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। খেজুড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যখন অশান্তি তুঙ্গে, তখন সেখানে গিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। আর সেখানেই তার গাড়িতে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। যার ফলে এবার রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলকে বর্বর বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা শিশির বাবুর পুত্র শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্ষোভ সামলে রাখতে না পেরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এরা অত্যন্ত বর্বর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় আনার পেছনে যাদের অবদান ছিল, তার মধ্যে অন্যতম শিশির অধিকারী। তার গাড়িতে যেভাবে পাথর ছোড়া হয়েছে, একজন প্রবীণ মানুষকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, আমি মনে করি, তাকে পার্থক্য ছোড়া মানে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি প্রবীণ মানুষকে পাথর ছোড়া।” একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই কি ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে গেলেন অতীতে অবদানের কথা? ভুলে গেলেন অধিকারী পরিবারকে! এখন শুভেন্দু অধিকারী তার দলের বিরুদ্ধে বিরোধী নেতা হিসেবে ব্যাটন লড়ছেন বলে তার পিতার লড়াই, আন্দোলন এবং তাকে সমর্থন করার বহুবিধ অধ্যায় কি এখন মনে নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর! নাকি ক্ষমতার সাধ পেয়ে এখন সেই শিশির অধিকারীর মতো প্রবীন নেতাকেও সহ্য হচ্ছে না বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের? বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতকে কোনোদিনই মনে রাখেননি। তাকে ক্ষমতায় আনার পেছনে যে সমস্ত নেতারা ছিলেন, তাদের সিংহভাগ নেতাই আজ তার সঙ্গে নেই। সকলকেই তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। কারণ, তিনি ক্ষমতা চেনেন। এক্ষেত্রে অধিকারী পরিবারও ব্যতিক্রম নয়। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের বাড়িতে রেখে নন্দীগ্রামের লড়াই আন্দোলনের পটভূমিকা তৈরি করেছিলেন শিশির অধিকারী, সেই শিশির বাবুকেও আজ তৃণমূলের হামলার মুখে পড়তে হলো। সত্যিই, অদৃষ্টের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভেবে থাকেন, এসব করে তিনি ক্ষমতার সাধ উপভোগ করবেন, তাহলে এর খেসারত ভবিষ্যতে তাকে এবং তার দলকে দিতে হবে বলেই দাবি একাংশের। পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করলেও এখনও পর্যন্ত কিন্তু খাতায়-কলমে শিশির অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ। তারপরেও তৃণমূলের হামলার মুখে পড়তে হলো তাকে। কারণ তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পিতা, এটাই তার দোষ। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা একবারও মনে রাখল না যে, এই নন্দীগ্রামে যে শিশির অধিকারীর জন্য প্রবেশ করে লড়াই, আন্দোলন করতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই শিশির অধিকারীর মতো প্রবীণ মানুষকে অন্তত সম্মান করা উচিত। কিন্তু সেই শিষ্টাচার, রুচিবোধ সবকিছু ঊর্ধে উঠে শাসকদল যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো, তার ফলভোগ তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত বেদনাদায়ক হবে বলেই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আপনার মতামত জানান -