আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রাপ্তি জোড়াফুলের, দেশের মধ্যে সেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি – খুশির হাওয়া তৃণমূলে কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 20, 2018 ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্প গুলিতে পৌঁছে দিতে মিনি-মহাকরন নিয়ে তিনি পৌঁছে যান জেলায় জেলায়। আর মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান মা-মাটি-মানুষের সরকারের এহেন উদ্যোগে গ্রাম বাংলার যে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে তা মানতে শুরু করেছেন সকলেই। আর তাইতো ফের আরও একবার দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রীর শিরোপা পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, স্কচ গ্রূপের বিচারে এবছর ‘স্কচ চিফ মিনিস্টার অফ দা ইয়ারের’ পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে সেরার সেরা শিরোপা দেওয়ার কথাটি সেই সংস্থার তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানই নন – সরকার পরিচালনা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, শহর ও গ্রাম উন্নয়নের নিরিখে এদিন বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকেও পুরস্কৃত করার কথা শোনা গেছে এই সংস্থার গলায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, অপুষ্টি দূরীকরণে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সোনা পেতে চলেছে। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনও ভালো ফল করেছে বলে খবর। এদিকে সরকারি ফেয়ার প্রাইস শপ, গ্রামোন্নয়নের ৫ টি বিভাগ এবং শহরোন্নয়নের কিছু জায়গাতেও পুরস্কার অর্জন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বাধীন বাংলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে এটা রাজ্যের শাসকদলের কাছে বাড়তি পাওনা। কেননা রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে না বলে বিরোধীরা এতদিন যে অভিযোগ শানাত শাসকদলের বিরুদ্ধে, স্কচের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার পাওয়ায় বিরোধীদের সেই অভিযোগকে ভোঁতা করে দেওয়ার জন্য অথবা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে অনেকটাই কাজে দেবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সেরার সেরা হওয়ার তকমা। স্বাভাবিকভাবেই, তুমুল উচ্ছ্বাস ঘাসফুল শিবিরের সমর্থকদের মধ্যে। জোড়াফুল সমর্থকদের দাবি – বিজেপি বাংলায় ক্ষমতা দখলের কথা বলছে, এদিকে তাদের হাতে থাকা একের পর এক রাজ্য বেরিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাজের জোরে দেশের সেরা হয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন নির্বাচনগুলোতে বাংলার মানুষ – দেশ যাঁকে সেরা মেনে নিয়েছে তাঁকেই দুহাত ভরে আশীর্বাদ করে সমগ্র দেশের দায়িত্ত্ব নিতে পাঠাবেন। গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরা এর পাল্টা কি উত্তর দেন – এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -