টোল আদায়ে জুলুমবাজি রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ ,’থোড়াই কেয়ার’ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার কলকাতা রাজ্য January 13, 2019 গত বুধবারই জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে নদীয়া সফরে এসে টোল ট্যাক্স আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু কানে জল ঢুকলো না কৃষ্ণনগর পুরসভার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে টোল ট্যাক্স আদায় করছে কৃষ্ণনগর পুরসভা। এমন অভিযোগ সামনে আসায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রশাসক তথা সদর মহকুমা শাসক অম্লান তালুকদার বলেন,”টোল ট্যাক্স আদায় বন্ধের নির্দেশিকা আমার কাছে এখনও আসেনি। নির্দেশিকা এলেই বন্ধ করে দেওয়া হবে।” জেলা সূত্রের খবর,আগে কোনো টোল ট্যাক্স আদায় করা হতো না কৃষ্ণনগর পুরসভায়। কিন্তু বছর তিনেক আগে ছবিটা পাল্টে যায়। হঠাৎ করেই টোল ট্যাক্স বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে শহরে ঢুকতে পান্থতীর্থ, পিডব্লুডি মোড় ও বেলেডাঙা মোড় থেকে শুরু করে হাঁসখালি রোড, মাজদিয়া রোড ও করিমপুর রোডে টোল গেট বসানো হয়। এর জেরে শহরে যেকোনো গাড়ি ঢুকলেই টাকা দিতে হয়। ছোট গাড়িতে ৩০ টাকা এবং বড় গাড়িতে ৫০ টাকা দিতে হয়। প্রথম দিকে শহরের গাড়ির ক্ষেত্রে এই টোল আদায় শুরু হয়। এর জের প্রবল বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ালে পুরসভা শহরের গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু ঠিক হয়,বাইরের কোনো গাড়ি শহরে ঢুকলেই টোল দিতে হবে। এই টোল আদায় পুর আইন অনু্যায়ী হচ্ছে বলেই দাবী করেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই টোল আদায়কে কেন্দ্র করে বেশি কিছু অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে। টোল আদায় কর্মীরা গাড়ির চালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুরও করেছে,এমনটাই অভিযোগ। টোলকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন,এমনটাও অভিযোগ তোলেন গাড়ির চালকরা। গাড়ির চালকদের পাশাপাশি এই টোল আদায় করা নিয়ে পুরসভার উপর মারাত্মক ক্ষিপ্ত শহরের মানুষেরা। টোল ট্যাক্স আদায়ের টেন্ডার নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকার শাসকদলের দুই নেতার আত্মীয়রা এই টেন্ডার পেয়েছে। এরাই জোরজুলুম করে গাড়ি থেকে টোল আদায় করেছে বলে অভিযোগে জানা গিয়েছে। এই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কানে আসার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এতে লোকসভা ভোটের আগে শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে এই আশঙ্কা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তড়িঘড়ি করে নদীয়া সফরে আসনে মুখ্যমন্ত্রী। জেলার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করো এই টোলট্যাক্স আদায় বন্ধ করার কড়া নির্দেশ দিয়ে যান তিনি। কিন্তু তারপরও এই দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের রাশ টানা গেল না। গতকালও এই টোল আদায় করেছেন টোল কর্মীরা। এক লরির মালিক অভিযোগে জানালেন,’মুখ্যমন্ত্রী টোল আদায় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তারপরেও কী করে টোল আদায় হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাকে অমান্য করছে পুরসভা।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার টোল আদায়ের জুলুমবাজি রুখতে এবার প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার! আপনার মতামত জানান -