১৭০ জন বিধায়ক সঙ্গে আছে! সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য জাতীয় November 4, 2019 মহারাষ্ট্র সরকার গড়া নিয়ে এখনো বিতর্কের অবসান হয়নি। একুশে অক্টোবর নির্বাচনের পর বেশ অনেকদিন কেটে গেছে। তা সত্ত্বেও সরকার গড়া নিয়ে দুপক্ষের কেউই কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার শিবসেনার সাথে জোটবদ্ধভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কিন্তু এর পরেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। শিবসেনার পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগেই শর্ত দেওয়া হয়েছিল, ফিফটি ফিফটি রাজনৈতিক ভাগাভাগির। এবার সেই শর্তকে মনে করিয়ে শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হয়ে উঠেছে। আর এই দাবি নিয়েই শুরু হয় যাবতীয় সমস্যা মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। যত দিন যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের জোট সংঘাত ততই তীব্র হচ্ছে। একদিকে বিজেপি-মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবী থেকে সরতে নারাজ। অন্যদিকে, শিবসেনা তাঁদের ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলা প্রয়োগে বিশ্বাসী। শর্ত পূরণ না হলে শিবসেনার পক্ষ থেকে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, সরকার গঠনের জন্য শিবসেনার কাছে এই মুহূর্তে 170 জন বিধায়কের সমর্থন আছে। এর আগে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের জন্য উপযুক্ত সমর্থন বিজেপির সঙ্গে আছে। এদিন সাংসদ সঞ্জয় রাউত বিজেপির প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বিজেপি যেভাবে মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে, তাতে কোন কাজ হবে না। অন্যদিকে, এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, সঞ্জয় রাউত তাঁকে ফোন করে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তিনি মিটিংয়ে থাকায় তাঁর ফোন ধরতে পারেননি। সূত্রের খবর, এদিন শরদ পাওয়ার কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর সাথে বৈঠকের জন্য দিল্লি গেছেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ওই বৈঠকে শিবসেনাকে সমর্থন নিয়েও আলোচনা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিজেপি শিবসেনাকে রীতিমতন হুঁশিয়ারি দিয়েছে পূর্বেই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হবে। 7 নভেম্বরের মধ্যে এই সরকার গঠন যদি না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। আর এই হুঁশিয়ারির পরেই শিবসেনা চরম ক্ষুব্ধ। শিবসেনা উল্টে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলছে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে বলে বিজেপি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে কিভাবে? তাহলে কি রাষ্ট্রপতিও বিজেপির হয়ে কাজ করছে? সব মিলিয়ে রাজনৈতিক অবস্থা রীতিমতো সংকটে মহারাষ্ট্রের। জোট রাজনীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তাল। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই নিয়ে চরম বিতর্ক ছড়িয়েছে মারাঠাভূমে। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আপাতত চিন্তার ভাঁজ সেখানকার রাজনৈতিক মহলে। কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একদিকে ফিফটি-ফিফটি শর্ত, অন্যদিকে একক বৃহত্তম দল হিসেবে নিজেদের ঘোষণা করে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের একক দাবিদার, এই দুইয়ের চাপে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ রীতিমতো জটিল হয়ে উঠেছে। দুই পক্ষই একে অপরের ওপর চাপ বাড়াতে ব্যস্ত। অতএব রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, সে ব্যাপারে জানতে এখন কৌতুহলী সমগ্র রাজনৈতিক মহল। আপাতত কি হতে চলেছে তার দিকেই সবার দৃষ্টি। আপনার মতামত জানান -