এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিভাবে টাইট দিয়ে ওষুধ দিতে হয়, জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী!

বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিভাবে টাইট দিয়ে ওষুধ দিতে হয়, জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী!


 

2011 সালের আগে রক্তক্ষয়ী সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সৈনিক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৎকালীন বাম সরকারের ঘুম উড়িয়ে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সৈনিকের অবদান ছিল যথেষ্ট। পরবর্তীতে গত 2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্তমানে সেই শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু 2011 থেকে 2018 সাল পর্যন্ত তৃণমূলের সময়টা ভালো গেলেও 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থানে রীতিমতো আতঙ্কিত হতে হয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে বিজেপিকে দমাতে শুভেন্দু অধিকারীর মত স্বচ্ছ মুখকে ময়দানে নামিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই করানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তা ভালই বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

আর তাই তো ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় তৃণমূলের ফলাফল ভালো করতে সেই শুভেন্দুবাবুকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। আর দায়িত্ব পেয়ে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাটাকে নেমেছেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। নিজের নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। বস্তুত, 2010 সালের 24 মার্চ সিপিএমের কেশপুর লাইনের ক্যাডারদের নন্দীগ্রাম, খেজুরি থেকে পিছু হটাতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেদিন সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই প্রতিবছর এই 24 নভেম্বর দিনটিকে “হার্মাদ মুক্ত” দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন খেজুরির কলেজ মাঠে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সিপিএমের রক্তক্ষয়ী কর্মকাণ্ডের কথা যেমন তুলে ধরেন তিনি, ঠিক তেমনই বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপির বন্ধুদের বলছি, সব দল থাকুক। সব ঝান্ডা থাকুক। লোক একটা দলকে ভোট দেবে, একটা দল হারবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকুক। কিন্তু খেজুরির বন্দরসহ কয়েকটি এলাকায় কোথাও একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার ওষুধ জানা আছে, কিভাবে টাইটটা দিতে হয়।” আর বিজেপির প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর এই আক্রমণাত্মক মন্তব্য দেখেই এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, একসময় সিপিএমই তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ ছিল। কিন্তু কালের নিয়মে বর্তমানে সেই সিপিএমের জায়গায় চলে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে রীতিমতো তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। আর তাই এদিন “হার্মাদমুক্ত দিবস” থেকে রীতিমতো সেই বিজেপিকে টাইট দেওয়ার কথা বলে আগামী দিনে বিজেপির সাথেই যে তৃণমূলের মূল লড়াই হতে চলেছে, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!