আলু, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে লকেটকে প্রশ্ন সাধারণের, উত্তরে কি বললেন বিজেপি সাংসদ! জেনে নিন কলকাতা জাতীয় রাজ্য January 6, 2020 সকালে ঘুম থেকে উঠে গিন্নি গৃহকর্তাকে বাজারের থলি হাতে ধরিয়ে দেওয়ার সময় রীতিমত আতকে ওঠেন গৃহকর্তা। হ্যাঁ, বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্য যা অবস্থা, তাতে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই এমন ঘটনারই সাক্ষী থাকছে গৃহস্থ পরিবার। আলু থেকে পেঁয়াজ, বর্তমান সময়ে আনাজপাতির যা দাম, তাতে রীতিমত ঘুম ওড়ার জোগাড় মধ্যবিত্তের। তবে শাকসবজি, আনাজপাতির দামে যখন অতিষ্ঠ মধ্যবিত্ত, ঠিক তখনই নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে বিজেপি বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্বে রীতিমতো অস্বস্তিতে সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে না পেরে, রীতিমতো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করে বসলেন সাধারণ মানুষরা। জানা যায়, রবিবার দুপুরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে হুগলি ভদ্রেশ্বর শরৎ সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর নাগরিকত্ব সংশোধনীর স্বপক্ষে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে গিয়ে, রীতিমতো সাধারণের প্রশ্নের মুখে পড়ে অস্বস্তিতে পড়তে হল এই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদকে। সূত্রের খবর, এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পাশে পেয়ে এক মহিলা বলেন, “আলু 40 টাকা কেজি, পেঁয়াজ 70 টাকা। গোন্দলপাড়া চটকল বন্ধ। শ্রমিকদের পরিবারে হাহাকার চলছে। কেন বলতে পারেন!” এদিকে এক মহিলার প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই, বিজেপি সাংসদের সামনে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন আরেক মহিলা। এদিন তিনি বলেন, “রেশন দোকানে 60 টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, ভাবা যায়!” আর নাগরিকত্ব সংশোধনী সমর্থনে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে এসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে লকেটদেবীকে এহেন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে, তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। তাই স্বাভাবিকভাবেই মহিলাদের এই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়ে কিছুটা হলেও অপ্রস্তুত হয়ে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারকে বলুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলুন। কেন উনি আলুর বস্তা ভর্তি টাকা আটকে রেখে পরে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন! চাষিরা কত কম টাকায় আলু বিক্রি করছেন, চাষিরা কত কম টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। রেশন দোকানে আলু পেয়াজ আটকে রেখে মানুষের কাছে আতঙ্ক তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী দাম বাড়াতে চাইছেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে সাধারণের প্রশ্নের মুখে পড়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায়, পাল্টা তাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, “হাস্যকর অভিযোগ। পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে কিছু বললেন না কেন! আসলে নাগরিকত্ব নিয়ে ওদের বিভাজনের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই কারণে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে উনি আজেবাজে কথা বলছেন।” আর দুই দলের দুই নেতা-নেত্রীর তরজা দেখে এখন সাধারণ মানুষেরা বলছেন, হায়রে অদৃষ্ট! কত কষ্ট করে, রোদে দাঁড়িয়ে, ঝড়- জল উপেক্ষা করে এই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের জনপ্রতিনিধি করেন সাধারণ মানুষ। আর ভোট দিয়ে তারা আশা রাখেন, যে এই সমস্ত ব্যক্তিরা জয়ী হয়ে তাদের সুদিন নিয়ে আসবেন। কিন্তু যখন এই সমস্ত ব্যক্তিরা সাংসদ হন, মন্ত্রী হন তখন তাদের কাছে গিয়ে সাধারণ মানুষ যদি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রশ্ন করেন, তখন সেই নেতা-নেত্রীরা একে অপরের দিকে অভিযোগ করেন। তাহলে কোথায় যাবে সাধারন মানুষ! কার কাছে বলবেন অভাব-অভিযোগের কথা! অনেকে বলছেন, ক্ষমতার স্বাদ বড়ই মধুর। তাই সেই ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করতেগ এখন সকলে ব্যস্ত। সেদিক থেকে জনতা জনার্দনের অভাবের কথা শোনা এবং সেই অভাব সমাধান করার মত সময় নেই রাজনীতিবিদদের কাছে। আপনার মতামত জানান -