অনুব্রত গড়ে বিস্ফোরণে পার্টি অফিস পোড়া কাণ্ডে দৃঢ় তৃণমূল সাত সমর্থক,জোর চাঞ্চল্য এলাকায় মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য September 12, 2018 তৃণমূল কার্যালয়ে বিস্ফোরণে আর পুলিশ গ্রেপ্তার করল তৃণমূল কর্মীদেরই| কথাটা শুনতে কেমন যেন ঠেকছে| এতদিন কোনো দলের ওপর হামলা বা বিস্ফোরণ হলে অভিযুক্ত হত বিরোধী দলের লোকেরা| কিন্তু এত নিজের বাড়িতেই চোর| শুনতে অন্যরকম লাগলেও ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য মতলব| সোমবার বীরভূমের কাঁকরতলায় তৃণমূল অঞ্চল কার্যালয়ে বিষ্ফোরণ হয়| দফতরের জানলা দরজা সহ উড়ে ছাদ| আতঙ্ক সৃষ্টি হয় বড়রা গ্রামে| কিন্তু কি করে হলো এত বড় বিস্ফোরণ? এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পাওয়া যায় অন্য গন্ধ| ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ করে বোম্ব স্কোয়াড। সেখান থেকে অনুমান করা হচ্ছে এই কার্যালয়ে পার্টির কাজ হিসাবে চলত বোমা তৈরির কাজ| সিআইডির প্রাথমিক অনুমান এখানে মজুত করছিল বোমা| কাঁকরতলার তৃণমূল অফিসটির প্রধান ছিলেন শেখ আজফার ওরফে কালো| ঘটনাটির পর থেকে নিখোঁজ কালো| কিন্তু এই ঘটনার জন্য সাত জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ| মঙ্গলবার ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। আদালত ধৃত শেখ আসমত, শেখ সাত্তোর ও শেখ সালাউদ্দিনকে ৬ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয়। বাকি চার জনকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পুলিশের সন্দেহ অনুযায়ী এলাকায় সামনেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে খয়রাশোল ব্লকের দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছে বীরভূম জেলা তৃণমূল। তারই জেরে দলীয় কার্যালয়ে বোমা মজুত থাকতে পারে বলে অনুমান। প্রসঙ্গত,এর সম্পূর্ণ দায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বিজেপির উপর চাপিয়েছিলেন.তাঁর দাবি ছিল এই কাজ বিজেপি করেছে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি ছিল তৃণমূলের লোকই এইসব করেছে। আর এদিন পুলিশ তৃণমূলের সমর্থকদের গ্রেফতার করায় নিজেদের জয় দেখছে বিজেপি। আপনার মতামত জানান -