এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় প্রশাসক বসতেই সামনে এল বড়সড় কেলেঙ্কারি, শোকজ ৬ আধিকারিককে – জানুন বিস্তারিত

তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় প্রশাসক বসতেই সামনে এল বড়সড় কেলেঙ্কারি, শোকজ ৬ আধিকারিককে – জানুন বিস্তারিত


পুরভোটের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই এবার তৃনমূল পরিচালিত বালুরঘাট পৌরসভার দুর্নীতি ফের প্রকাশ্যে চলে এল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে বালুরঘাট পুরবোর্ডের। আর তারপরই নিয়মানুযায়ী সেই পুর বোর্ডের দায়িত্ব নেন বালুরঘাট সদর মহকুমার শাসক ঈশা মুখোপাধ্যায়।

কিন্তু কদিন আগেই তিনি ছুটিতে যাওয়ার পরই সেই পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব সামলাতে শুরু করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মহন্ত। আর এই প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েই ধীরে ধীরে পুরসভার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই তিনি এসএসকে মিড ডে মিল দেখভালের জন্য ৫০ জন সুপারভাইজারকে অবৈধভাবে নিয়োগ করায় – তাঁদের কাজ থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন। আর এবারে এই বালুরঘাট পৌরসভার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের কাজের অনিয়ম প্রকাশ্যে তুলে ধরে ফের এক সাহসী পদক্ষেপ নিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, পুরসভার গ্রীন সিটি প্রকল্পের কাজে লক্ষ লক্ষ টাকা অনিয়মের অভিযোগে বালুরঘাট পৌরসভার ৬ আধিকারিককে অবশেষে শোকজ করলেন পুরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক তথা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মহন্ত। আর সেই শোকজের তালিকায় রয়েছেন, পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার, ফিন্যান্স অফিসার, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও তিনজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

আর প্রশাসকের এমন সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন খুশি ছড়িয়ে পড়েছে শহরবাসীর মধ্যে, ঠিক তেমনি আতঙ্ক গ্রাস করছে পুরসভার অন্যান্য কর্মীদের। পুরবাসীরা চাইছেন, উন্নয়নের টাকা যেই নয়ছয় করুক না কেন, তাকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিক প্রশাসক।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই পুরসভার অন্যান্য কর্মীরা আতঙ্কে পড়তে শুরু করেছেন। কেননা শুধু পুরসভার এই ছয় আধিকারিকই নন, বর্তমানে এই পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প, কাজের মান ও অবস্থান খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন বর্তমান প্রশাসক। তাই এই অজানা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুরসভার অনেক আধিকারিকরাই বাধ্য হয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলার বা শাসক দলের অনেক নেতাদের কাছে ছুটতে শুরু করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

যদিওবা শাসকদলের প্রাক্তন কাউন্সিলাররা এই ব্যাপারে কোনোরূপ মুখ খুলতে নারাজ। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার শংকর দত্ত বলেন, “কাজে অনিয়মের অভিযোগে ৬ জন আধিকারিককে শোকজ করেছেন প্রশাসক। আমার কাছে সেই শোকজ হওয়া কজন আধিকারিক এসে তাঁরা কি উত্তর দেবেন তা জানতে চাইছিলেন। আমি তাঁদের জানিয়ে দিয়েছি যে, আমি এখন পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার। কাজেই আমি এই ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার কেউ নই। যদি কোনো ঘটনায় অনিয়ম হয় তাহলে তার সঠিক তদন্ত হোক”।

তবে প্রাক্তন কাউন্সিলাররা এই ব্যাপার এড়িয়ে গেলেও সমালোচকদের একাংশ মনে করছেন, সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। যদি এই গ্রীন সিটি প্রকল্পে অনিয়ম সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে তা কাউন্সিলরদের চোখ এড়ালো কি করে? তাহলে কি এই প্রাক্তন কাউন্সিলাররা পৌরসভার দিকে ঠিকমতো নজর রাখতেন না? নাকি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন তাঁরা? এইসব প্রশ্ন এখন মুখে মুখে ঘুরছে বালুরঘাটবাসীর।

এদিকে এই গ্রীন সিটি প্রকল্পে এই লক্ষ লক্ষ টাকা অনিয়ম এবং এই ব্যাপারে পুরসভার ছয় আধিকারিককে শোকজের ব্যাপারে বালুরঘাট পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক সুব্রত মহন্ত বলেন, “এই ব্যাপারে যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই বলবে”। তবে যে যাই বলুক না কেন তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ড ক্ষমতায় আসার পর ও মেয়াদ শেষের পর বালুরঘাট পৌরসভায় যে ঘটনা ঘটল তাতে হতবাক সংস্কৃতিপ্রেমী বালুরঘাটবাসী। আর সামগ্রিক ঘটনায় রীতিমত উৎসাহিত সম্মিলিত বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!