এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লোকসভায় অন্যতম ‘সেফ সিটেও’ বড়সড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে, ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতে

লোকসভায় অন্যতম ‘সেফ সিটেও’ বড়সড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে, ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতে

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার আসনটিকে নিজেদের নিরাপদ আসন বলেই বেছে রেখেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেই লোকসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন এই আলিপুরদুয়ারে অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে বিজেপির। এবার সেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতির দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিল।

উল্লেখ্য, এই আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপির মোট সাংগঠনিক 22 টি মন্ডল রয়েছে। যার মধ্যে জয়গা- 1, 2 এবং দলসিংপাড়ায় তিনটি পঞ্চায়েতের বিজেপির 7 নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন রাজেশ ছেত্রী। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাজেশবাবু বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। আর তারপর থেকেই আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই উঠতে শুরু করে দিয়েছে প্রশ্ন।

জেলা সভাপতি থাকা সত্ত্বেও কেন এভাবে মন্ডল সভাপতি তৃণমূলে যোগদান করলেন? এদিন তা নিয়ে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের অনেক নেতা কর্মীরা। একাংশের অভিযোগ, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ভুল রণনীতির জন্যই কুমা গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি দখলে রাখতে পারেনি তারা। পাশাপাশি বর্তমানে কেএলও জঙ্গি ও লিঙ্ক ম্যানদের পরিবারও তাদের হাত ছেড়ে যোগ দিচ্ছে শাসকদলে।‌

কিন্তু এতসব সত্ত্বেও এই জেলায় দলীয় সংগঠন রক্ষার্থে জেলা সভাপতি তেমন কোনো ভূমিকাই পালন করছে না। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি তথা বর্তমান জেলা কমিটির সদস্য গুনধর দাস বলেন, “জেলা সভাপতির মন্ডল এলাকার সভাপতি তৃণমূলে গেলে জেলা নেতৃত্বকে বিড়ম্বনায় পড়তেই হবে। এটা সাংগঠনিক ব্যর্থতা। কর্মী-সমর্থকদের ভাবাবেগের দাম না দিলে এমনটাই হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে একই কথা বলেছেন আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা কমিটির অন্যতম প্রবীণ আমন্ত্রিত সদস্য হেমন্ত রায়ও। এদিন তিনি বলেন, “জেলা নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতার জন্যই দলে যোগ্য ব্যক্তিরা মর্যাদা পাচ্ছে না। যার জন্য লোকসভা ভোটের মুখে এই জেলায় জমি হারাচ্ছে দল।” কিন্তু কেন তার মন্ডল এলাকার মন্ডল সভাপতি এইভাবে দল ছাড়লেন? কেন তিনি আটকাতে পারলেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “সাত নম্বর মন্ডলের সভাপতি রাজেশবাবুকে তৃণমূল ভয় দেখিয়ে তাদের দলে যোগদান করিয়েছে। কর্মী-সমর্থকদের মনে প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। তবে এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।” সত্যিই কি এই রাজেশবাবুকে তৃণমূলে যোগদান করানোর পেছনে কোনো ভয় দেখানোর ব্যাপার রয়েছে?

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “বিজেপি মিথ্যে কথা বলছে। আমরা রাজেশ ঘোষকে কোনরূপ ভয় দেখাইনি। উনি উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” তবে যাকে নিয়ে এত কিছু সেই রাজেশ ছেত্রী ঠিক কি বলছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই রাজেশ ছেত্রী বলেন, “ব্যক্তিগত সমস্যা ও নিজের এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই শাসকদলে যোগ দিয়েছি।”

সব মিলিয়ে আলিপুরদুয়ারে পদ্ম ফোঁটাতে চাইলেও যেভাবে দলের মন্ডল সভাপতি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করলেন তাতে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের অন্যান্য নেতাকর্মীরাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!