এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি সভাপতি নির্বাচনের আগে স্বঘোষিত সভাপতি নির্বাচন করে পোস্টার একাংশের

বিজেপি সভাপতি নির্বাচনের আগে স্বঘোষিত সভাপতি নির্বাচন করে পোস্টার একাংশের


চলছে 2020, আর সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র আর একবছর। এবার সেদিকেই নজর রাজ্যের যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলির। 2021 এর বিধানসভার দখল নিতে এবার বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে। এর আগে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলকে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। আর তারপর থেকেই চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য স্থির রেখে এবার পরপর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার মধ্যে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বদল এর কথা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

রাজ্য বিজেপি অন্দরে এখন একটাই গুঞ্জন, আগামী দিনে রাজ্য বিজেপি সভাপতির আসনে কে বসতে চলেছেন? যদিও ইতিমধ্যে আগামী দিনের সভাপতি কে তার ইঙ্গিত দিয়ে ব্যানার, হোডিং লাগানো শুরু হয়ে গেছে। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী 9 জানুয়ারি পর্যন্ত। বর্তমানে বিজেপি সভাপতি পদে আসীন রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তবে নতুন বছরে নতুন সভাপতি আসবেন কিনা সে নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও কিছুটা আভাস মিলেছে প্রস্তুতিতে। ইতিমধ্যে বিজেপি সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাজ্য বিজেপি সদর দপ্তর সেজে উঠেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ছবি সম্বলিত পোস্টার চারিদিকে জ্বলজ্বল করছে।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি নির্বাচন ঘিরে যখন বিজেপির অন্দরে তুমুল শোরগোল, তহন বিজেপির একপক্ষ অবশ্য দাবি তুলেছে দিলীপ ঘোষই বিজেপির সভাপতি পদে আসীন হতে চলেছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী 9 জানুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব বাংলায় আসছেন। উদ্দেশ্য, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি নির্বাচন করা। সেদিনই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিজেপি সভাপতি নির্বাচন করবেন তিনি। এই লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত এগিয়ে আছেন দিলীপ ঘোষ।

অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ মহল তাঁর ফিরে আসার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এবং তাঁরাই রাজ্য দপ্তরের বাইরে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ইত্যাদি লাগাতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, বেশ কিছু নেতা আছেন যাঁরা দিলীপ বিরোধী, তাঁরা বলতে শুরু করেছেন কোন কিছু এখনো ঠিক হয়নি, তার আগেই এত আয়োজন। এসব না বিফলে যায়। কারণ, সবকিছুই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর। রাজ্য বিজেপি সভাপতি নির্বাচনে অনেকগুলি ফ্যাক্টর কাজ করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিলীপ ঘোষ বর্তমানে একজন বিজেপি সাংসদ। সূত্রের খবর, তাঁকে ভবিষ্যতে মন্ত্রী করার চিন্তা-ভাবনার ফলে তাঁকে সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হতে পারে, যেভাবে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা রয়েছেন। আবার অন্য সূত্রে খবর, যদি বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে অন্য মুখ আসে, তাহলে দিলীপ ঘোষের মন্ত্রী হওয়ার পথ আরোও প্রশস্ত হবে। বঙ্গ বিজেপির অনেকেই অবশ্য মনে করছেন, দিলীপ ঘোষের মন্ত্রী হওয়ার পর অতটা সুগম নাও হতে পারে। কারণ, রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশ যেরকম দিলীপ ঘোষের পক্ষে আছে, তেমন আরও একটি অংশ দিলীপ ঘোষের বিপক্ষেও আছেন। বহু অভিযোগ আছে সেই অংশের। তবে সমস্ত কিছুই নজরে রেখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে কথা অনস্বীকার্য।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে যদি দিলীপ ঘোষের মুখ পরিবর্তন করা হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদ থেকে, তাহলে 2019 সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকেই যে গতিশীলতা তৈরি হয়েছিল বিজেপি অন্দরে বা যেভাবে বিজেপির পালে হাওয়া লেগেছিল তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আশা রাখা যেতেই পারে, দিলীপ ঘোষকেই আগামী 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি পদে বসানো হতে পারে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শীর্ষপদে বদল নির্বাচনের ফলাফলে বদল আনতে পারে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।

আপাতত বিজেপির লক্ষ্য 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কমপক্ষে 200 আসন অধিকার করা। আর তা করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একটি গতিশীল রাজ্য বিজেপি রাজ্য কমিটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন বলে খবর। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, উপনির্বাচনে পিছিয়ে গেলেও আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব এবং সেকারণেই সংগঠনকে মজবুত করার উদ্দেশ্যে এই মুহূর্তে বিজেপি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করেছে। যার মধ্যে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!