এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিস্ফোরক অভিযোগ দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে! ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের

বিস্ফোরক অভিযোগ দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে! ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের

সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দড়ি দিয়ে বেঁধে এক মহিলাকে রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরেক মহিলা। কাকুতি-মিনতি করেও মিলছেনা রেহাই। এই নির্মম ঘটনাটি সামনে আসার পরেই খোঁজখবর করতে দেখা যায়, এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর এলাকায়। এবং এই নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটার পেছনে অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান এর দিকে। ঘটনাটি সামনে আসতেই রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এর নাম অমল সরকার। তিনি তৃণমূল দলের সদস্য। 31 শে জানুয়ারি ঘটে যাওয়া এই লজ্জাজনক ঘটনাটি সামনে আসার পর তৃণমূলের তরফ থেকে নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকারকে তড়িঘড়ি বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বিরোধীদের মুখ আটকানো যায়নি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। যাকে নিয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে, তিনি দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় তাঁর জমি দখল করে রাস্তা করার কাজ চলছিল। সেটিতে বাধা দেওয়ার জন্যই তর্কের সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকেই বিবাদ চরমে ওঠে। এবং অভিযুক্ত অমল সরকার ও তার দলবল এই মহিলাকে আটকে মারধর শুরু করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্রান্ত মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি ভিডিওর মাধ্যমে সামনে আসতে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। রাজনৈতিক মহল থেকে নাগরিক সমাজ প্রত্যেকের মুখেই একই কথা- মধ্যযুগের এইরকম বর্বরতার কথা ইতিহাসে পড়া যায় কিন্তু চোখে দেখা যায় না। এই ঘটনায় অবশ্য তৃণমূল ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলার রাস্তায় হাঁটেনি। বরং উপপ্রধান অমল সরকারকে সাসপেন্ড করে তাঁকে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে বাধ্য করেছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় উপপ্রধান এর আগেও নিগৃহীতা মহিলা স্মৃতিকণা দেবীর ওপর হামলা চালিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপি ইতিমধ্যে দাবি করেছে, স্মৃতিকণা দেবী তাঁদের দলের সদস্য ছিলেন। এই ঘটনায় তাঁরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূলের প্রতি। অন্যদিকে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রতি বিজেপি চরম অসন্তোষ ও অনাস্থা প্রকাশ করেছে। তাঁরা এদিনের ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে পেশ করে রাজ্যের আইন শৃংখলার চরম দুরবস্থা স্পষ্ট করেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, স্মৃতিকণা দেবীর অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপপ্রধানকে দলে রাখা হবে না।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অমল সরকার জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেননা এবং দড়ি দিয়ে মহিলাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। তিনি পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন স্মৃতিকণা দেবীর প্রতি। তাঁর দাবি, সরকারি রাস্তা তৈরিতে বাধা দিচ্ছিলেন  ওই মহিলা। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সুরাহা মেলেনি। তবে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেভাবে মতের অমিল হওয়াতে মহিলার ওপর শাসকের অত্যাচারের নিদর্শন পাওয়া গেল তা সত্যিই লজ্জার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!