বেলেঘাটা আইডির পরিষেবা ব্যাবস্থা দেখে ঢালাও প্রসংসা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের, মুখ পুড়লো বিরোধীদের ! কলকাতা রাজ্য May 14, 2020 সারা দেশের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতির অবস্থা তথৈবচ। তবে এবার সামনে এলো অন্য কথা। করোনা বাড়ছে অবশ্যই, কিন্তু সুস্থও হচ্ছেন প্রচুর মানুষ এই বাংলায়। বেশ কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের বাংলায় আসা নিয়ে রাজ্যের সাথে কেন্দ্রের একদফা রাজনৈতিক কোলাহল সৃষ্টি হয়। যে কোলাহল স্বর প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় দল রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এবার দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বাংলায় এসে প্রথমেই বেলেঘাটা আইডির পরিষেবা দেখে 100 তে 100% নাম্বার দিয়ে পাস করিয়ে দিলেন বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে। বরাবরই কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের টক্কর লাগছে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান ঘিরে। এই পরিসংখ্যান ধোঁয়াশার মধ্যেই সদ্যই স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারকে বদলি করে দেওয়া হয়। তার 24 ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বাংলায় এসে যেভাবে রাজ্যের অন্যতম হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর আগে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির হাল দেখতে রাজ্যে এসে প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় দল বেলেঘাটা আইডি দোরগোড়ায় গেলেও ভেতরে পৌঁছাননি। এই অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় আবারও কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য অপরাজিতা দাশগুপ্ত এবং লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলি পর্যবেক্ষণের। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা এদিন বেলেঘাটা আইডি পৌঁছান এবং সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একটি নোট দেন। এবং সেই নোটে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সম্পর্কে যথেষ্ট ভাল ভাল কথা লেখা আছে বলে জানা গেছে। এমনকি রোগীদের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থাপনা এবং সমস্ত তথ্য বেলেঘাটা আইডি কর্তৃপক্ষ যে সফলভাবে করতে পারছে তা এদিন জানিয়ে দিলেন দ্বিতীয় দফায় বাংলায় আসা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। অন্যদিকে কলকাতা গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এ একজন সিআইএসএফ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে সেখানে আরও 40 জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয় সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি এক প্রবীণ চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থাও যথেষ্টই উদ্বেগজনক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী জানা গেছে, গত 24 ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও 117 জন। তার মধ্যে কলকাতার 85 জন, উত্তর 24 পরগনার 13 জন, হাওড়ায় সাতজন, হুগলিতে সাতজন, দক্ষিণ 24 পরগনায় দুজন এবং পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া ও উত্তর দিনাজপুরের একজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও 9 জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। অতএব রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো 135। অন্যদিকে কো মর্বিডিটিতে আরো 72 জনের মৃত্যু ঘটেছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা পৌঁছে গেছে 207 এ। গত 24 ঘণ্টায় অবশ্য আশা জাগিয়ে হাসপাতাল থেকে 90 জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে করোনায় সুস্থতার হার কিছু অংশে বেড়েছে। তবে তার পেছনে কেন্দ্রের ডিসচার্জ নীতির ছায়াই দেখছেন সবাই। করোনা প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জানিয়েছেন, করোনার বর্তমান চরিত্র জানার জন্য শীঘ্রই একটি সমীক্ষা করা হবে রাজ্যজুড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার হাল-হকিকত দেখে বোঝাই যাচ্ছে এরকম চড়াই-উৎরাই চলতেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সবার গলাতেই এক সুর- বর্তমানে দেশকে করোনাকে সাথে নিয়েই চলতে হবে। সেই ভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। আপাতত যতদিন না প্রতিষেধক এবং ওষুধ আবিষ্কার হয়, ততদিন সাবধানতা অবলম্বন করেই এই করোনাকে ঠেকিয়ে রাখার কাজ চলছে দেশজুড়ে। পরিস্থিতি নজরে রাখতে সদাপ্রস্তুত দেশের ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -