আমফান এর তহবিল নিয়ে মোদির কাছে বড়সড় আর্জি জানালেন দিলীপ ঘোষ, জেনে নিন কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 22, 2020 সাইক্লোন আমফানের দাপটে গোটা রাজ্য লন্ডভন্ড। এদিন গোটা পরিস্থিতি পরিদর্শনে রাজ্যে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বাংলায় কয়েক লক্ষ্য কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। এদিকে বাংলাকে বাঁচাতে সব রকম সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত রাজ্যগুলি ঘুরে দেখেন । আর এর মধ্যেই আমফানের যে তহবিল কেন্দ্রের তরফ থেকে বাংলাকে দেওয়া হবে সেই নিয়েও বড়সড় আর্জি জানালেন দিলীপ ঘোষ। এদিন রাজ্যের বিজেপি প্রধান দিলীপ ঘোষ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিমানবন্দরে । সেখান থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,’রাজনীতি তো হবে, রাজনীতি তো করব কিন্তু তার আগে বাংলার যে এই পর পর ধাক্কা, আমফান আর করোনার জেরে পেয়েছে … তাতে অর্থনীতি থেকে চিন্তাভাবনা সব পাল্টে গিয়েছে বাংলার।’ সাথেই তিনি বলেন , ‘যেভাবে মমতা ডাকার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, বাংলার মানুষের সঙ্গে তিনি আছেন।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এরপরেই তিন প্রধানমন্ত্রীকে বড়সড় আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘আগে রাজ্যে কী পরিস্থিতি হয়েছে আয়লা বা ফনির সময় , তা আমরা দেখেছি। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, যাঁদের যা পাওনা রয়েছে সেই টাকা পার্সোনাল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হোক।’আর এই বার্তার পরেই ফের বাংলায় বিজেপি তৃণমূলে বাক যুদ্ধ শুরু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বাংলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আমফানের প্রভাবে, রাস্তায় গাছ পড়া , বাড়ি ঘর ভেঙে পড়া, নাদির বাঁধ ভেঙে জায়গায় জায়গায় জল ঢুকে যাওয়া বাদ যায়নি কিছুই। সাথেই অনেক মানুষ মারা গেছেন। এখনো কারেন্ট নেই, মোবাইলেই নেটওয়ার্ক নেই ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ। অসহায় হয়ে পড়েছেন মানুষজন। প্রশ্ন একটাই কবে সব কিছু আবার স্বাভাবিক হবে। এদিকে দিলীপবাবুর দাবি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কেননা এখন কিছু না বললেও বার বার তিনি ও বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে মুখমন্ত্রী কেন্দ্রের সাহায্য নেন কিন্তু হিসাব দেন না। শুধু তাই নয় দিলীপবাবু সরাসরি মুখমন্ত্রী ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের টাকার কাটমনি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে কেন্দ্র জানে সে কথা তাই সরাসরি মানুষের একাউন্টে টাকা পাঠায়। তাই এবার প্রশ্ন উঠছে মুখে কিছু না বললেও কি এবারেও সেই দিকেই ইঙ্গিত করলেন দিলীপবাবু ? আপনার মতামত জানান -