টিকটকের দিন শেষ! চীনের ঘুম ওড়াতে ভারতে চলে এল নতুন অ্যাপ! এক মাসেই আকাশছোঁয়া সাফল্য! অন্যান্য জাতীয় টেকনোলজি May 29, 2020 ভারতের সঙ্গে চীনের লড়াই দীর্ঘদিনের। ৬২-এর যুদ্ধে সমর ক্ষেত্রে সরাসরি লড়াই হলেও – তারপর থেকেই ভারত-চীন যুদ্ধটা চলে গেছে কূটনৈতিক পর্যায়ে। ভারতকে চাপে রাখার জন্য চীনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও নেপালকে কাজে লাগানোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ। চীনা আগ্রাসনে ভারতের বহু অংশ ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও দীর্ঘদিনের জল্পনা। আর তাই, ভারত-চীন কূটনৈতিক যুদ্ধ সবসময়েই থেকেছে খবরের শিরোনামে। এদিকে ভারতের উপর আগ্রাসন দেখালেও, ভারতের বাজারের উপরেই চীনা বাণিজ্য বহুলাংশে নির্ভরশীল। বর্তমানে, ডিজিটাল যুগে সেই বাণিজ্য ডিজিটাল মাধ্যমেও চলে এসেছে। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকেই, চীনের লাল চোখকে উপেক্ষা করে ধীরে ধীরে, চীনকে ভাতে মারার কৌশল নেওয়া শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীর নীতি হল, যদি ভারতের বাজারে চীনের পণ্য বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেই কিন্তু চীনের অর্থনীতি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে। আর তাহলেই, ভারতের বিরুদ্ধে এই দাদাগিরি কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। আর তাই তিনি ডাক দিয়েছেন ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের। অর্থাৎ ভারতবাসী ধীরে ধীরে বিদেশী পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য ব্যবহার শুরু করুন। তাহলে, একদিকে যেমন ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, অন্যদিকে তেমনই চীনের অর্থনীতি দুর্বল হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি, একদিনে বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, এই আবহেই এবার চীনকে বোধহয় সবথেকে বড় ধাক্কাটা দিল ভারত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ভারতের ডিজিটাল দুনিয়াই সব থেকে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপটির নাম টিকটক, যা চীনের একটি সংস্থার তৈরী। এই অ্যাপটি যে পরিমান ভারতীয় ব্যবহার করেন, তার ফলে দৈনিক কয়েক হাজার কোটি টাকার মুনাফা করে চীন। তার থেকেও বড় কথা, বিশেষজ্ঞরা বলেন এই অ্যাপটি আদতে একটি ফাঁদ! টিকটক প্রেমীদের কিছু উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিয়ে আদতে ব্যক্তিগত সব তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চীন। যা পরবর্তী কালে দেশের সুরক্ষা বলয়ে বড়সড় ধাক্কা হতে পারে। আর তাই সম্প্রতি ভারত থেকে টিকটক অ্যাপটিকে ব্যান করার জন্য আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ভারতে চলে এল একটি নতুন অ্যাপ। যা নতুন প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলেই আশা করছেন সকলে। সূত্রের খবর, ভারতের আইআইটি রুরকি শিক্ষার্থীর তৈরি ‘মিত্রো’ অ্যাপটি ইতিমধ্যেই নতুন প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে এই অ্যাপটি ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। কিন্তু কি কি বিশেষত্ব রয়েছে এই অ্যাপের? বস্তুত, এই শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মটির গুগল প্লে স্টোরে একটি 4.7 স্টার রেটিং রয়েছে। এই অ্যাপটি চীনের টিকটকের মতই কাজ করে। ফলে সেদিক থেকে টিকটক বিদায় নিতে পারে ভেবে যে সমস্ত যুবক-যুবতীরা হতাশায় ভুগছিলেন, তারা এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদাকে অনেকটাই সন্তোষজনক দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করছেন নেটিজনেরা। কেননা, ভারত থেকে টিকটক ব্যান করার জন্য ইতিমধ্যেই অ্যাপটিকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে রেটিং কমানো শুরু করেছেন ভারতীয়রা। যার ফলে জনপ্রিয়তম এই অ্যাপটির রেটিং কমতে কমতে প্রায় ১-এর কাছাকাছি চলে এসেছে। সত্যিই যদি টিকটকের রেটিং ১ হয়ে যায়, তাহলে প্লে-স্টোর এই অ্যাপটিকে ব্যান করে দেবে। ফলে, চীন ভারতের কাছে দৈনিক কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হারাবে। অন্যদিকে, টিকটকের অভাব ঢাকতে ইতিমধ্যেই বাজারে চলে এল সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তির অ্যাপ মিত্রো। ফলে, সবমিলিয়ে টিকটকের কার্যক্রমকে ম্লান করে দিয়ে চীনের ঘুম উড়িয়ে ভারতে নতুন অ্যাপ চলে আসায় রীতিমতো আশার আলো দেখা দিতে শুরু করল। এখন এই নতুন অ্যাপ কতটা সাফল্য পায় বা ভারতের বাইরেও টিকটকের বাজার কতটা দখল করতে পারে তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -