রাত হলেই শুরু তুমুল ইঁটবৃষ্টি! অদ্ভুতুড়ে ঘটনায় ঘুম উড়েছে শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের ! বর্ধমান রাজ্য May 29, 2020 রাজ্যের মানুষের অশান্তি যেন আর শেষ হতেই চাইছেনা। একেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে রীতিমতো জেরবার হয়ে দিন কাটাচ্ছে মানুষ, তারপর নতুন করে ঘূর্ণিঝড় আমফান এবং তার পরবর্তীতে কালবৈশাখী হওয়ার ফলে মানুষের দুর্ভোগ যেন আর কাটতেই চাইছেনা। অনেকেরই মতে করোনার কারণে রুজি-রোজগার বন্ধ হয়েছে, এবং ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে মাথার ওপর ছাদটুকুও গেছে। কিন্তু এর মধ্যেই নতুন করে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি জোনের তিলক রোড এলাকায় শুরু হয়েছে নতুন আরেকটি উদ্বেগজনক ঘটনা। এলাকার মানুষদের কথায় জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় রাত হলেই টালির ও অ্যাজবেস্টার চালের ওপর ইঁট বৃষ্টি চলছে তুমুলভাবে। মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন এলাকায়। উপরন্তু ইঁটের আঘাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের টালি এবং অ্যাজবেস্টারের চাল ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র পরিবারগুলি। ইঁটের আঘাত থেকে বাঁচতে রীতিমতো রাত জেগে কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দাবি করেছেন এই ইঁটবৃষ্টির পেছনে একদল সমাজবিরোধী কাজ করছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তে দুর্গাপুর থানার পুলিশ কোমর বেঁধে নেমেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, যে এলাকায় এই ইঁটবৃষ্টি হচ্ছে, সেই এলাকায় সাধারণত দরিদ্র মানুষরাই বাস করেন, যাদের বাড়ির মাথায় কোন পাকা ছাদ নেই। নিত্যদিন রাত্রিবেলা এই ইঁটবৃষ্টি হওয়ার কারণে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন। সূত্রের খবর, সোমবার রাত দুটো থেকে হঠাৎ করেই এই ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়। ইঁটের আঘাত থেকে বাঁচতে মানুষজন রাতারাতি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। এর পরেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছে আশেপাশের এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়না। মঙ্গলবার রাতেও একইভাবে ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়। এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, ওই রাতেও এলাকায় পুলিশ ছিল। কিন্তু তা সত্বেও একনাগারে ইঁটবৃষ্টি চলতে থাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসে পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর। অন্যদিকে হঠাৎ করে এরকম ভুতুড়ে কান্ডের পেছনে কী ঘটছে, তা কেউই বুঝতে পারছেন না বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর মনি দাশগুপ্ত জানান, তিনি এলাকায় এই ঘটনাটির খোঁজ নেওয়ার জন্য পুলিশকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে দুর্গাপুর থানার ওসি রাজ শেখর মুখোপাধ্যায়ের কথায় জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কিছু সমাজবিরোধী এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ করোনার কারণে এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তার মধ্যে নতুন করে এ ধরনের ঘটনায় দুর্গাপুরের বি জোনের এলাকার মানুষজন চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের মত, এ ধরনের ঘটনা মনুষ্যরচিত। কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অজানা কার্যসিদ্ধির কারণে এ ধরনের ঘটনা নিত্যদিন ঘটিয়ে চলেছে মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য। পুলিশের উচিত, এই ঘটনার তলিয়ে তদন্ত করা। আপাতত এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে গেলে তিলক রোড এলাকার মানুষজনকে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তাই এখন দেখার। আপনার মতামত জানান -