অমিত শাহের এক সভাতেই চাঙ্গা বঙ্গ বিজেপি, দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার – অপেক্ষা শুধু ২০২১-এর! কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 12, 2020 গত লোকসভা নির্বাচনে 18 টি আসনে জয়লাভের পর থেকেই বিজেপি বাংলা দখলের টার্গেট নিয়ে নিয়েছিল। সেই মত করে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে সাম্প্রতিক কালে করোনা পরিস্থিতির কারণে সেভাবে রাজনৈতিক ময়দানে দেখা যায়নি কোনো রাজনৈতিক দলকে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হতে সম্প্রতি অনলাইনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সভায় বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণাত্মক ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তাঁর এই বার্তা এখন বিজেপিকে আগামী 2021 এর নির্বাচনের জন্য যে বেশি করে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে, তা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়। সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে ফের আরও একবার সেই কথা তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যের মানুষ 2021 এর জন্য অপেক্ষা করছে। বোঝা যাবে, মানুষ কি চাইছেন।” এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে করোনা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে গড়িয়া শ্মশানের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “করোনায় আক্রান্ত হয়ে কার মৃত্যু হচ্ছে, কত আক্রান্ত, কতজনের পরীক্ষা হচ্ছে, সব প্রকাশ্যে আনা দরকার। আর মৃতদেহের প্রতি এত অবহেলা কিসের? কেন মৃত্যুর পর একটু সম্মানের সঙ্গে মানুষের শেষকৃত্য হবে না?” এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা নিয়ে এদিন রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যখনই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য ট্রেন চেয়েছেন, কেন্দ্র সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়েছে। তারপর উনি এসব নিয়ে একাধিক সমস্যা তৈরি করেছেন। আরও দায়িত্বের সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর কাজ করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের।” এদিকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হলেও, তার সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেদিনীপুরের এই বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “5 লক্ষ দুর্গতকে কুড়ি হাজার টাকা করে দেবেন। কোথায় সেই টাকা! কারা পেলেন! নাকি কাটমানিতেই বেড়িয়ে গেল! মানুষ এই সময় পার্থ বাবুদের পাশে চাইছেন। আমপান বিধ্বস্ত এলাকায় না গিয়ে তারা এখানে বসে ভাষণ দিচ্ছেন।” অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই সমস্ত মন্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এখন বিভিন্ন বিষয়ে তারা আরও বেশি করে সরব হচ্ছেন। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে বার্তা দেওয়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় একটা জিনিস পরিষ্কার যে, বিজেপি এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আরও বেশি করে ময়দানে নামতে শুরু করেছে। আর রাজনৈতিক ময়দানে নেমে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতেই বিজেপির নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -