এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কমিশনের লোকজন ফিরে যেতেই আবারও হামলা বিজেপি কর্মীর ওপর, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

কমিশনের লোকজন ফিরে যেতেই আবারও হামলা বিজেপি কর্মীর ওপর, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট পরবর্তী সময় থেকে বরাবর রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এমনকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগের আঙুল অবশ্যই ছিল রাজ্যের প্রশাসনের দিকে। একই সাথে হাইকোর্টের তরফ থেকেও রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে। কিন্তু এত কিছু করেও পরিস্থিতি কিছুতেই পাল্টানো যাচ্ছেনা। রাজ্য রাজনীতির মানচিত্রে কেশপুর অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি জায়গা। বিভিন্ন সময়ে এখানে গন্ডগোলের কথা শোনা গিয়েছে অতীতে। সেই কেশপুরেই এবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হলেন এলাকার বিজেপি কর্মী।

প্রসঙ্গত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মীরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা কেশপুরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের কর্মীরা ফিরে যেতে না যেতেই রীতিমতন সালিশি সভা ডেকে বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একসাথে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও থাকছে প্রশ্ন। কমিশনের তদন্ত চলাকালীন যেভাবে কেশপুরে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ব্যাপক আকার ধারণ করল, তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। আতঙ্কে নতুন করে বাড়িছাড়া হয়েছেন উক্ত বিজেপি কর্মী এবং তাঁর পরিবার। প্রসঙ্গত, ভোটের পর থেকে এই পরিবারটি আতঙ্কে বাড়ি ছাড়াই ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা এসে ওই বিজেপি কর্মী এবং তাঁর পরিবারকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু সবাই ফিরে যেতে আবারো পরিস্থিতি আগের পর্যায়ে ফিরে যেতে বিন্দুমাত্র সময় নেয়নি। রীতিমতো সালিশি সভা বসে এবং ওই বিজেপি কর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কার্যত ওই বিজেপি কর্মী মারধোরের ঘটনায় গুরুতর আহত হ‍্যেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়, হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে শোনা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। আপাতত পরিস্থিতি থমথমে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে রাজ্য সরকার যে বড়োসড়ো বিপাকে পড়লো সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা ফিরে যেতেই এই ঘটনা প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলছে। আপাতত এই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনা আগামী দিনে যে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বিতর্কের আঁচ আরও বাড়াবে সে কথা বলাইবাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!