এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন নেতার আগমনে তৃণমূল সুপ্রীমো কি পাল্টা ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব নিয়ে চাপে পড়বেন? দ্বিচারিতা কি মুখ্য হয়ে উঠছে শাসক দলের?

নতুন নেতার আগমনে তৃণমূল সুপ্রীমো কি পাল্টা ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব নিয়ে চাপে পড়বেন? দ্বিচারিতা কি মুখ্য হয়ে উঠছে শাসক দলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই রাজ্য জুড়ে বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে নেমে পড়েছে রাজ্যজুড়ে প্রচারপর্বে। তবে এবারের নির্বাচনে মূলত প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির লড়াই। বাংলায় এই মুহুর্তে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচারপর্বে ঝড় তুলছেন বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজেপি তারকা নেতারাও। 

পাশাপাশি এ রাজ্যের নির্বাচনী গুরুদায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা। আর তাই নিয়ে কিন্তু একের পর এক প্রবল কটাক্ষ করে চলেছে তৃণমূল। প্রথম থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার তৃণমূলেও দেখা গেল বহিরাগত নেতার যোগ।আজকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। মূলত অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে তিনি অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রকের মতন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা যায়।

 বর্ষীয়ান এই রাজনৈতিক নেতা বিজেপি ছেড়েছেন অবশ্য অনেকদিন আগেই। কিন্তু এবারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূলে যোগদান করলেন, যা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলে যশবন্ত সিনহা যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে দেশ চালাচ্ছেন মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, গেরুয়া শিবির এই মুহূর্তে অত্যান্ত ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।এই অবস্থায় তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একমাত্র লড়াকু নেত্রী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। 

আজ তৃণমূল ভবনে বিদায়ী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়ানের উপস্থিতিতে যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগদান করেন, দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন। প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এই মুহূর্তে বাড়িতে। তবে জানা গিয়েছে, যশবন্ত সিনহার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সময় ফোনে কথা হয়। পাশাপাশি ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহল হিসাব কষতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যশবন্ত সিনহার তৃণমূলে আসায় ঘাসফুল শিবিরের কতটা উপকার হবে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে তৃণমূলের দাবি অবাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে যশবন্ত সিনহার একটা প্রভাব থাকবে। আর তাই রাজ্যের অবাঙালি অঞ্চলে তৃণমূলের প্রার্থীদের হয়ে যশবন্ত সিনহা প্রচার চালাবেন। প্রসঙ্গত দেখা যাচ্ছে, গত লোকসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে সিংহভাগ ভোট বিজেপি তুলেছে অবাঙালি ভোটারদের থেকে। তাই এবার সেই অবাঙালি ভোটকে টার্গেট করে তৃণমূল সাদর আহ্বান জানিয়েছে বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা যশবন্ত সিনহাকে। কিন্তু ইতিমধ্যে বিরোধী শিবিরের অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তৃণমূল শিবির এতদিন পর্যন্ত যে বহিরাগত তত্ত্ব আঁকড়ে গেরুয়া শিবিরকে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছে, সেই তৃণমূলে বহিরাগত নেতা হয়ে কিভাবে যশবন্ত সিনহা প্রবেশ করলেন!

বিরোধী মহলের অনেকেই তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য বর্তমানে দ্বিচারিতা বলে বর্ণনা করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে যশবন্ত সিনহা কবে থেকে প্রচারে যেতে শুরু করবেন, তা এখনো জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বহিরাগত তত্ত্ব নিয়ে এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ চালালেও এবার গেরুয়া শিবিরের হাতে অস্ত্র উঠে গেল। তৃণমূল শিবিরের বহিরাগত তত্ত্ব তাঁদের দিকেই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার দেখার, তৃণমূল নেত্রী বহিরাগত তত্ত্ব নিয়ে কিভাবে পাল্টা কর্ণার করেন বিরোধীদের!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!