এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটালেন দলেরই অন্যতম হেভিওয়েট নেতা

নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটালেন দলেরই অন্যতম হেভিওয়েট নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই একের পর এক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের দলীয় অশান্তি শুরু হয়েছে বহুদিন ধরেই। সেই অশান্তি ব্যাপক আকার ধারণ করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার আর্জি বহুবার জানিয়েছেন দলনেত্রী, কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনো কাজ হয়নি। আর তার এবার স্পষ্ট হলো ভোটের মুখে। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এমন একটি দাবি করলেন, যা রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন যাবত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মোহন শর্মার সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে।

আর এবার রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে মোহন শর্মা দাবি করলেন বিমল গুরুংকে তিনি মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন তৃনমূলের দিকে আসার জন্য। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন দলের কাজ করার জন্য। কিন্তু সেরকম কিছুই তিনি করতে পারছেননা বর্তমানে। তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। মোহন শর্মা এদিন জানান, কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জানিয়েছিলেন, বিমল গুরুংকে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে নিয়ে আসার জন্য। সেই অনুযায়ী টাকা-পয়সা নিয়ে তিনি বিমল গুরুংয়ের কাছে পৌঁছে দেন। আর বর্তমানে বিমল গুরুংকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, বিমল গুরুংকে জিজ্ঞাসা করলে তাঁকে বিমল গুরুং জানিয়েছেন, দলের নির্দেশে তিনি এসব কাজ করছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগ সামনে আসাই রীতিমতো তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মোহন শর্মা সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর, জেলা আইসিডিএস কমিটির চেয়ারম্যান, তরাই ডুয়ার্স কালচারাল ডেভলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ নটি সহকারি পদ এবং রাজ্য কোর কমিটির সদস্য এবং জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য পদ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন।  তবে পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কোনমতেই তিনি বিজেপিতে যাবেন না। তিনি একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য পদও তিনি এই মুহূর্তে ছাড়ছেন না। মোহন শর্মা তাঁর অভিযোগের পাশাপাশি জানিয়েছেন, তাঁর অপমানের কথা তিনি বারংবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অরূপ বিশ্বাসকে বলেছেন। কিন্তু তাতে কোনরকম সুরাহা হয়নি। বরং তাঁর বিরুদ্ধেই বিভিন্ন দুষ্কর্মের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি মোহন শর্মা জানান, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যাকে কালচিনি প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর হয়ে মোহন শর্মা ভোটের প্রচার চালাবেন না। এ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী কিছুই অবগত নন বলে জানান। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

পাশাপাশি তিনি বলেন, দলের কারোর বিরুদ্ধে যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে তার জন্য উপযুক্ত জায়গা আছে। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে যেভাবে একের পর এক তোপ দেগেছেন দলের বিরুদ্ধে মোহন শর্মা তা নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়ে গেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটের মুখে যেভাবে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা বিমল গুরুংকে নিয়ে কার্যত বোমা ফাটালেন সাংবাদিক সম্মেলনে তা তীব্র অস্বস্তি তৈরি করবে তৃণমূল শিবিরের জন্য। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সুযোগ কাজে লাগাবে বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী পরিস্থিতি সামলাতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সেদিকেই এখন নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!