এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বচসার জেরে নিজের ছেলেকেই গুলি বাবার! তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে! রাজনৈতিক না পারিবারিক বিবাদ?

বচসার জেরে নিজের ছেলেকেই গুলি বাবার! তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে! রাজনৈতিক না পারিবারিক বিবাদ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পিতা পুত্রের সম্পর্ক হয় সম্পূর্ণ অন্যরকম। পিতার স্নেহের ছত্রছায়ায় সন্তান বড় হতে থাকে। তাই সন্তানের ওপর বাবার গুলি চালনা বস্তুত একটি অসম্ভব ঘটনা বলেই আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে। কিন্তু এরকম অবিশ্বাস্য ঘটনাও এখন ঘটছে। এবং এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায়। এবং এই ঘটনায় যথারীতি রাজনীতির রংও লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। কিভাবে? সে প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে দেবব্রত সামন্তর ওপর গুলি চালান বাবা প্রদীপ সামন্ত।

আর তাতেই এরকম অবিশ্বাস্য ঘটনা সামনে আসে। তবে পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই কাণ্ড ঘটেছে। সম্প্রতি কোচবিহার মাথাভাঙ্গার ডাউয়াগুরি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে দেবব্রত সামন্তর সাথে তুমুল অশান্তি শুরু হয় বাবা প্রদীপ সামন্তর। রাগ সামলাতে না পেরে বাবা প্রদীপ সামন্ত ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। আর সেগুলি ছেলের তলপেটে গিয়ে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কোচবিহার মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনায় স্থানীয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে প্রদীপ সামন্তকে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, প্রদীপ সামন্ত একজন অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাড়িতে অশান্তি চলছিল এবং গত বৃহস্পতিবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে। অন্যদিকে পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ সামন্ত স্থানীয় বিজেপি কর্মী। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃত প্রদীপ সামন্তর কাছ থেকে একটি ম্যাগাজিন এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তীব্র নিন্দা করেন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি কর্মীর হাতে অস্ত্র কি করে এলো? অন্যদিকে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী এদিন স্বীকার করেছেন প্রদীপ সামন্ত তাঁদের দলের কর্মী। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন সম্পূর্ণ পারিবারিক ঘটনা এটি। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো যোগাযোগ নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, পারিবারিক ঘটনা হলেও বিজেপি কর্মীর হাতে অস্ত্র আসা আগামী দিনে একটি বড় ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে রাজনৈতিক পর্যালোচনায়। তৃণমূল ইতিমধ্যেই দাবি তুলতে শুরু করেছে, অস্ত্রের জোরে বিজেপি আগামী দিনের নির্বাচনে লড়াই করতে নামছে। তবে অস্ত্র কাণ্ড নিয়ে জল যে অনেকদূর গড়াবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!