এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অ্যান্টিবডি তৈরী হলেও মানবদেহে থাকছে মাত্র ৫০ দিন! কোভিড গবেষণায় নতুন তথ্য ঘুম ওড়াচ্ছে!

অ্যান্টিবডি তৈরী হলেও মানবদেহে থাকছে মাত্র ৫০ দিন! কোভিড গবেষণায় নতুন তথ্য ঘুম ওড়াচ্ছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বজুড়ে করোনা হানা মাত্রই তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য শুরু হয়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের লড়াই। বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশই এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে দাবী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে রাশিয়া করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে বলেও দাবি করছে। যদিও তা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক আছে। অন্যদিকে ভারতও পিছিয়ে নেই। চলছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের বিভিন্ন পদক্ষেপ। তবে যতদিন না প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত একের পর এক রাস্তা অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনা রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য এরকমই একটি রাস্তা হল প্লাজমা চিকিৎসা।

তবে প্লাজমা চিকিৎসা পুরোপুরি কোভিড অ্যান্টিবডির ওপর নির্ভরশীল বলে জানা গেছে। ভারতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতালে প্লাজমা চিকিৎসার মাধ্যমে বেশ কিছু করোনা রোগীকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। কিন্তু গবেষণায় জানা যাচ্ছে, প্লাজমা চিকিৎসার ফলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, তার আয়ু মাত্র দু’মাস এর কাছাকাছি। এ প্রসঙ্গে সমীক্ষা ও গবেষণার প্রধান পরিচালনকর্তা ডঃ নিশান্ত কুমার জানিয়েছেন, “৮০১ জনকে নিয়ে গবেষণা করা হয় যাঁদের মধ্যে ২৮ জন আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের শুরুর দিকে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছিল। জুন মাসে করা সেরো সার্ভেতে তাঁদের কারোর মধ্যেই কোভিড অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি।”

আর এই নিয়ে বর্তমানে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত গবেষকরা। ডঃ নিশান্ত কুমার আরও জানিয়েছেন, সেরো সমীক্ষা করা হয়েছিল যে 34 জনের ওপর, তাঁদের মধ্যে পাঁচ সপ্তাহ পূর্বে যাদের করোনা ধরা পড়েছে তাদের 38.5 % রক্তে অ্যান্টিবডি দেখা গেছে। অন্যদিকে তিন সপ্তাহ আগে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় 90 শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দিন দিন অ্যান্টিবডি নিয়ে গবেষণার হার বাড়ছে বিশ্বের বুকে। তবে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিবডির আয়ু নির্ভর করে রোগী উপসর্গহীন না উপসর্গযুক্ত তার ওপর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে মহামারী বিশেষজ্ঞ ডঃ গিরিধর আর বাবু জানিয়েছেন, জেজে হাসপাতালের নতুন সমীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। এর আগে বহু সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, বহুদিন ধরে উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের শরীরে তিন চার মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব থাকে। অন্যদিকে চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, করোনার বিরুদ্ধে সবথেকে বড় প্রতিরোধ গড়ে তোলে মানুষের শরীরে থাকা টি সেল। অ্যান্টিবডির হেরফেরে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় করোনা আক্রান্তদের।

দুই বিপরীত ফলাফলের জেরে সমীক্ষা ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্ন যাই থাকুক না কেন, সাধারণ মানুষের দাবি যে কোনোভাবে করোনার হাত থেকে মুক্তি। এই মুহূর্তে করোনা সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আর এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি মিলবে কবে? তার এখনও কোন দিশা দেখাতে পারছেন না বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত বলে চলেছেন, যেভাবে প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা দিনরাত এক করে এগিয়ে চলেছেন তাতে বলা যায়, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়া এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!