এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা কালে গ্রামীণ চিকিৎসায় ভরসা আয়ুশ-হোমিওপ্যাথি! মোটা টাকা খরচ করে ক্যাম্প করবে মমতা সরকার

করোনা কালে গ্রামীণ চিকিৎসায় ভরসা আয়ুশ-হোমিওপ্যাথি! মোটা টাকা খরচ করে ক্যাম্প করবে মমতা সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এমনিতেই খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। তার ওপরে নিত্যদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। করোনার প্রাথমিক সময় শহরাঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব অত্যন্ত বেশি হলেও বর্তমানে কিন্তু গ্রামাঞ্চলেও করোনার প্রাদুর্ভাব ভালোই চোখে পড়ছে। এই অবস্থায় গ্রামগুলিকে চিকিৎসা পৌঁছে দেবার জন্য এবার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে ইতিমধ্যে।

সূত্রের খবর, প্রতিটি জেলায় একটি করে শিবির হবে। এর জন্য ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার বলে জানা গেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রত্যেকটি জেলায় পাঁচটি করে চিকিৎসা শিবির হতে চলেছে গ্রামাঞ্চলে। মনে করা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসার ক্ষেত্র আরো মজবুত করতে রাজ্য সরকার এই নির্দেশ জারি করেছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাবলিক হেলথ আউটরিচ প্রোগ্রাম’। রাজ্যের সাতাশটি স্বাস্থ্য জেলায় এই কর্মসূচি রূপায়নের জন্য ইতিমধ্যেই 64 লক্ষ আশি হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

অনেক আগে থেকেই আয়ুশ বিভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকাগুলিতে চিকিৎসার জন্য একটি করে রুটিন শিবির করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল চিকিৎসা শিবির করার জন্য, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে চিকিৎসকদের মতে, সঠিক সময়ে করোনা ধরা পড়লে সুস্থতার হার আরো বাড়বে। এই শিবিরগুলোতে কারোর যদি করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে তাঁকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রত্যেক জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় শিবির করার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা মেডিকেল অফিসার (আয়ুশ)অমরনাথ কোলে জানিয়েছেন, প্রতিটি ক্যাম্পে একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক থাকবেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এরকম ওষুধ দেওয়া হবে এবং কারোর যদি করোনার উপসর্গ প্রকাশ পায়, তাহলে তাঁকে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে সরকারি চিকিৎসালয়ে।

অন্যদিকে জানা গেছে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর থেকে গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা শিবির করার নির্দেশ এসেছে এবং কোথায়, কটি শিবির করতে হবে, কত টাকা খরচ হবে তাও বিস্তারিত বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। অন্যদিকে এই নির্দেশিকা কি করে বাস্তবায়িত হচ্ছে, তার সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রতি মাসের 10 তারিখে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য জেলার মেডিকেল অফিসারকে জানিয়ে রাজ্যস্তরে রিপোর্ট করতে হবে বলে জানা গেছে। পুরুলিয়া জেলার আয়ুশ বিভাগ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমে শিবির শুরু হচ্ছে বান্দোয়ানে।

তারপর বড়াবাজার এর মতন এলাকাগুলিতে এই শিবির হবে। এই শিবির করার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক স্কুল, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র প্রভৃতি জায়গাগুলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামাঞ্চলে এরকম চিকিৎসা শিবির প্রত্যেক মাসে হলে অবশ্যই গ্রামীণ মানুষরা যে উপকৃত হবেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে বিরোধীদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে কাছে টানার জন্য রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। তবে নিঃসন্দেহে এটি যে একটি সাধু উদ্যোগ সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!