এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভ্যাকসিন বেরোনোর আগে বড় ভরসা এই দুই ওষুধ! করোনাকে রোখার অস্ত্র পেয়ে গেলেন চিকিৎসকরা?

ভ্যাকসিন বেরোনোর আগে বড় ভরসা এই দুই ওষুধ! করোনাকে রোখার অস্ত্র পেয়ে গেলেন চিকিৎসকরা?

যত সময় যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণও ততই বিস্তার লাভ করছে বিভিন্ন দেশে। এই মুহূর্তে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা দিনরাত এক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের। যদিও এখনো পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তবে যতদিন না প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়, ততদিন পর্যন্ত বিভিন্ন রকম ওষুধ দিয়ে করোনার মারমুখী সংক্রমণকে রোধ করার চেষ্টা চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারতেও করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতে করোনার প্রতিষেধক এবং ওষুধ আবিষ্কার নিয়ে কি কি কাজ চলছে এবং কেমন ভাবে চলছে তা দেখার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই টাস্কফোর্স ইতিমধ্যে জানিয়েছে, অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাভির এবং ইমিউন মড্যুলেটর ড্রাগ টোসিলিজুমাব এই মুহূর্তে করোনাকে ঠেকাতে কাজে দেবে বলে জানিয়েছে। ইতিমধ্যে অবশ্য সরকারি টাস্কফোর্স থেকে বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নাহলে কোন কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর টোসিলিজুমাব ওষুধটি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রয়োগের পর দেখা গিয়েছিল, আক্রান্তদের মধ্যে দুজনের শরীরে এই ওষুধটি দারুণভাবে কাজ করেছে। তাঁদের সংক্রমণও এই মুহূর্তে অনেকটাই কমের দিকে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আইসিএমআর এর গবেষকরা আগেই জানিয়েছিলেন, ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্লোরিকও দারুণ ভাবে করোনা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এর পরেই ফ্যাভিপিরাভির নামক ওষুধটির কথা সামনে আসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এটি একটি অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ড্রাগ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিগত দিনে চীন, জাপান এবং রাশিয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করার জন্য এই ড্রাগ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ভারতে ‘সেন্টার অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ফ্যাভিপিরাভির’ এর সংশ্লেষ পদ্ধতি সম্পন্ন হয়েছে আপাতত। এই ওষুধের ট্রায়ালপর্ব শেষেই ক্লিনিক্যালী তা প্রয়োগ করা হবে কিনা সে কথা জানানো হবে।

এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সায়েন্স রিসার্চ ফার্মগুলিও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন এবং ড্রাগ আবিষ্কারের বলে জানা গেছে। এ সম্পর্কে টাস্কফোর্সের কোঅর্ডিনেটর এবং ডিরেক্টর ডক্টর ভি প্রেমনাথ জানিয়েছেন, ‘আমরা এই প্রথম ড্রাগগুলির মলিখিুল বিশ্লেষণ করে পরীক্ষা করছি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে সব।’ অন্যদিকে সিএসআইআর ডিরেক্টর জেনারেল শেখর মান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি বেসরকারি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফ্যাভিপিরাভিরের সংশ্লেষের দায়িত্বে রয়েছে।এবার ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই এই ওষুধ রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।

তবে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ এই মুহূর্তে মারাত্মক আশাবাদী করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার এর ব্যাপারে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ চলছে ভাইরাস বনাম মানুষের। তাই মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে রাতারাতি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করার। প্রতিটি দেশই চাইছে, যে কোনো মূল্যে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে মানব জাতিকে আবার নতুন করে বাঁচার আলো দেখাতে। অন্যদিকে অবশ্য বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ও ওষুধ আবিষ্কারের যেভাবে চেষ্টা চলছে তাতে বলাই যায় যেকোন মুহূর্তে যেকোন দেশ করোনা দূরীকরণের জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!