এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রদবদলের তৃণমূলে দিদির ‘আদরের কেষ্ট’, অনুব্রত মন্ডলের ডানা ছাটা অব্যাহত! তীব্র জল্পনা দলেই

রদবদলের তৃণমূলে দিদির ‘আদরের কেষ্ট’, অনুব্রত মন্ডলের ডানা ছাটা অব্যাহত! তীব্র জল্পনা দলেই

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী একুশের বিধানসভার মসনদ দখলের ডাক দিয়েছিলেন। আর সেদিকে তাকিয়েই একের পর এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়ে চলেছে রাজ্য তৃণমূল দলে। সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য এবং জেলা স্তরে ব্যাপক সাংগঠনিক পরিবর্তন হয়েছে। তারপর যথারীতি রাজ্য স্তরের মুখপাত্র এবং জাতীয় স্তরের মুখপাত্রে বদল এনেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আর এবার বদল আসতে চলেছে জেলা স্তরের মুখপাত্র নির্বাচনে।

সাংগঠনিক রদবদলে ইতিমধ্যে রাজ্য কমিটিতে যেমন জায়গা পেয়েছেন জনসাধারণের কমিটি নেতা ছত্রধর মাহাতো, তেমনই জায়গা পেয়েছেন সিপিএমের বহিস্কৃত নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার জেলা স্তরের মুখপাত্র বেছে নেওয়ার পালা। সূত্রের খবর, এবার থেকে জেলায় জেলায় তৃণমূলের যে কোন নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে আর মুখ খুলতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে এবার জেলা স্তরের মুখপাত্ররা যা বলার বলবেন। আপাতত তেইশটি সাংগঠনিক জেলার জন্য মোট 36 জন মুখপাত্র নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

তবে মুখ্য চমক জেলা স্তরের মুখপাত্র হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম না থাকা। অনুব্রত মণ্ডল এমনিতেই বীরভূমের জেলা সভাপতি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তার থেকেও বেশি জনমানসে পরিচিত হয়েছেন তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে। আগামী দিনে যাতে আর কোনরকম বিতর্ক তৈরি না হয় সে কারণেই কি অনুব্রত মণ্ডলকে এবার কিছুটা আটকানো শুরু হল? জল্পনা তৃণমূলের অন্দরেই। জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডল এর জায়গায় এবার বীরভূমে দলীয় মুখপাত্রের দায়িত্বে আসছেন জামশেদ আলী খান।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, এবার হুগলি জেলার মুখপাত্রের দায়িত্বে আছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষাল। অন্যদিকে হাওড়ায় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সুকান্ত পাল ও বৈশালী ডালমিয়াকে। একইভাবে জলপাইগুড়িতে মুখপাত্রের দায়িত্বে আসছেন দুলাল দেবনাথ। আলিপুরদুয়ারে সৌরভ চক্রবর্তী। আবার কালিম্পং এ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ভীম আগরওয়াল ও শিখ রায়কে। কোচবিহারে জেলা স্তরের মুখপাত্র নির্বাচিত হয়েছেন শিবপদ পাল ও নরেন্দ্র চন্দ্র দত্ত। একইভাবে পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বে এসেছেন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অশোক রুদ্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রসেনজিৎ দাসের ওপর। পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা স্তরের মুখপাত্র হলেন মধুরিমা মন্ডল। একইভাবে পুরুলিয়ায় নবেন্দু মহালি এবং ঝাড়গ্রামে উমা সরেন ও সুব্রত সাহা মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখপাত্রের দায়িত্বে এসেছেন শান্তনু ভূঁইয়া ও দেবাশীষ চৌধুরী। উত্তর দিনাজপুরের দায়িত্বে এসেছেন সন্দীপ বিশ্বাস। মালদার মুখপাত্র হলেন শুভময় বসু ও সৌমালা আগারওয়াল। মুর্শিদাবাদের মুখপাত্রের দায়িত্বে এসেছেন গৌতম ঘোষ ও অপূর্ব সরকার।

অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনায় এই দায়িত্ব পেয়েছেন রথীন ঘোষ ও সুনীল মুখোপাধ্যায়, এবং দক্ষিণ 24 পরগনায় তৃণমূলের জেলা স্তরের মুখপাত্রের দায়িত্ব নিয়েছেন জীবন মুখোপাধ্যায়, তরুণ রায় ও বঙ্কিম হাজরা। বাঁকুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ আগারওয়ালের হাতে। দার্জিলিং সমতলে দলীয় মুখপাত্র হিসেবে এসেছেন বেদব্রত দত্ত। দার্জিলিং পাহাড়ের দায়িত্বে এসেছেন এনভি খাওয়াস। নদীয়া এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা স্তরের মুখপাত্রের দায়িত্বে এসেছেন যথাক্রমে বাণী রায় ও দেবেশ রায় এবং জয়ন্ত দাস। উল্লেখ্য এর আগে জাতীয় স্তর এবং রাজ্য স্তরের মুখপাত্র নির্বাচনেও তৃণমূল নেত্রী যথেষ্ট চমক দিয়েছিলেন। রাজ্য স্তরের মুখপাত্র হিসেবে এবার একের পর এক চমক ছিল।

একদিকে যেমন রাজ্য স্তরের মুখপাত্রের জায়গায় এসেছেন নুসরত জাহান, অন্যদিকে এসেছে তৃণমূলের তরুণ মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে সব থেকে চর্চা যে নামটি নিয়ে হয়েছে তিনি হলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে তৃণমূল নেতৃত্ব যেভাবে একের পর এক চমকপ্রদক পরিবর্তন করে চলেছেন সাংগঠনিক স্তরে, তা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট কৌতূহলের সৃষ্টি করছে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচন যে খুব একটা সহজ হবে না সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন সবাই। আপাতত একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইতে নামতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মুখিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!