এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > আমপান বিধ্বস্ত বাংলায় লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ঢুকছে! করোনা সংক্ৰমন কি এবার বাঁধ ভাঙবে?

আমপান বিধ্বস্ত বাংলায় লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ঢুকছে! করোনা সংক্ৰমন কি এবার বাঁধ ভাঙবে?


লকডাউন প্রাক্কালে কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে একধাক্কায় বহু জায়গায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলস্বরুপ পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাতে শুরু করে। ইতিমধ্যে তাঁরা যে যার নিজের কর্মক্ষেত্র থেকে পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়ে নিজেদের রাজ্যে ফেরার তাগিদে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কেন্দ্রীয় সরকারও পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করে।

যদিও ট্রেন চালানোর প্রাকমুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সূচিত করেছিলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে রাজ্যে ফেরার পর করোনা সংক্রমণের হার বেশ কিছুটা বাড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কাকেই সত্যি করে এবার বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। বর্তমানে রাজ্যেও লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ফেরার ফলে এক ধাক্কায় করোনার সংক্রমণের হার বেশ অনেকটাই বেড়ে উঠেছে। রাজ্যে করোনা বিপর্যয়ের প্রাথমিক অবস্থা থেকেই পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। যার জের চলছে এখনো।

তার মধ্যে নতুন করে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত হাজির হয়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান প্রায় লন্ডভন্ড করে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকার রীতিমত নাকানি-চুবানি খাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার কারণে পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারও তৈরি করা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে বলে জানা যাচ্ছে। এমনিতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকা এখনো বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। তার মধ্যেই লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফেরায় সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের পরিস্থিতি যথেষ্ট আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে করোনা তালিকার প্রথম সারিতে থাকা রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকেও দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরছে। সূত্রের খবর, এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারের সম্প্রতি একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষাধিক শ্রমিক ফিরে আসায় মালদা মুর্শিদাবাদে আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে 70 থেকে 80 হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হলেও এখনও পর্যন্ত এদের কারণেই শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি বলে জানা গেছে।তার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও তীব্রতর হচ্ছে।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বর্ধমান দেগঙ্গা এবং হাওড়াতেও সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্কুল-কলেজগুলি ত্রাণশিবিরে পরিণত হয়েছে। আর যে কারণে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছেনা। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে করোনা টেস্ট না করে প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে সংক্রমণের হার মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এমনিতেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। তার ওপরে যদি আবার উত্তরোত্তর করোনা সংক্রমণের সংখ্যা রেকর্ড ব্রেকিং হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি যে আরো খারাপের দিকে যাবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। অন্যদিকে মানুষের আতংকও বেড়ে চলেছে। আপাতত রাজ্য সরকার সমস্ত দুর্যোগ সামলে করোনার মতন মহামারীকে সামাল দিতে কিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সে দিকেই এখন লক্ষ্য ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!