এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবার পুরস্কার পেলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ, জেনে নিন

আবার পুরস্কার পেলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত বৃহস্পতিবার দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এরপর গত শনিবার তিনি দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন বলে, তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর তাঁকে দলে ধরে রাখতে এগিয়ে আসেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এরপর সেদিন রাতেই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর ক্ষোভ প্রশমিত হয়। তৃণমূল থেকে যাবার জন্য তাঁকে পুরস্কার হিসেবে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতির পদ দেয়া হয়। আজ আবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিশেষভাবে সম্মানিত করলেন পুরুলিয়ার জনসভা থেকে। পুরুলিয়ার জনসভা মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিশেষ প্রশংসা করলেন। সভায় আজ মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই থেকে ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিশেষভাবে প্রশংসা ও অভিবাদন করলেন। যা তাঁর একটা বিরাট পাওনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ সভার মধ্যে থেকে শতাব্দী রায় জানিয়েছেন যে, সকলের এটা ভাবা দরকার যে, কি পেয়েছেন? আর কি পাবেন? বিজেপির প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত না হয়ে বুদ্ধি দিয়ে সবকিছু বিচার করে, তবেই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি বললেন। তিনি জানালেন যে, কেউ কোনদিন ভাবেনি যে, কোন সরকার জনগণের দুয়ারে পৌঁছাবে। তিনি জানালেন, মানুষ সুযোগ দেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না। এটা বেইমানি। জনগণের প্রতি তিনি জানালেন যে, সকলের বুকে হাত দিয়ে প্রশ্ন করা উচিত যে, মানুষ কি উপকৃত হয়নি এই সরকারের দ্বারা?

শতাব্দী রায় জানালেন যে, তৃণমূল নেত্রী সকলের পাশে থাকেন, তাঁর কথা রাখেন। একজন নেত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাইরে থেকে কত লোক আসছেন। তিনি জানালেন যে, কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পায়। তিনি জানালেন, সংসারে অশান্তি হতেই পারে, নিজের লোককে বকা দেওয়া যায়। কিন্তু বাইরের লোক এসে কিছু বলবে, তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। অভাব, অভিযোগ সব মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে বললেন তিনি, কিন্তু বাইরের কাউকে বলতে নিষেধ করলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার তার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। ১০০ ভাগের মধ্যে ১০০ ভাগ কাজ করা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে যতটুকু সম্ভব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থেকে শতাব্দী রায় জানালেন যে, ১৪০০ টাকা বেতনের জন্য বহু মানুষ দরজায় দরজায় ঘুরছেন। কিন্তু সেখানে সংসদ ভবন তৈরি করতে কেন্দ্রীয় সরকার খরচ করছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এই খরচের কি প্রয়োজনীয়তা আছে? আজ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভা থেকে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় সম্পর্কে তাঁর সন্তুষ্টির কথা জানালেন। সাংসদের বক্তৃতা শুনে তিনি মোহিত। রাজনীতির কথা তিনি বলেছিলেন, তাঁর বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে প্রসংসা ও অভিবাদন জানান তিনি। যা তাঁর বিরাট পুরস্কার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!