এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবার রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যপালকে বিধলেন তৃণমূলের মুখপাত্র

আবার রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যপালকে বিধলেন তৃণমূলের মুখপাত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক অম্লমধুর। রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি। গতকাল আবার রাজ্যপাল আবার রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। যার প্রত্যুত্তর করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল একাধিকবার অভিযোগ করেছেন।

রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তৃণমূল সরকারকে তিনি হীরক রাজার দেশের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। গতকাল সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর একটি টুইট করেছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন যে, কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে এডিজি আইনশৃঙ্খলা, আইপিএস আধিকারিক জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জারি করা হয়েছে। রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন যে, এরপরও রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে জ্ঞানবন্ত সিং এর পদোন্নতি ঘটানোর। এ কারণে তিনি অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের কাছে জ্ঞানবন্ত সিংএর বিযয়ে ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছেন।

গতকাল দুপুরে এই টুইট করার পর গতকাল বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এর সঙ্গেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, ডায়মন্ডহারবারে তাঁর বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলেন রাজ্যপাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানালেন যে, ডায়মন্ড হারবারে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। ডায়মন্ডহারবার হলো খাস কনস্টিটিউন্সি, যেখানে জেলাশাসক কখনোই রাজ্যপালের প্রটোকল পালন করতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর মনে হচ্ছে ডায়মন্ডহারবার যেন দেশের বাইরে। এরপরই তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, ডায়মন্ড হারবার কি কারও জমিদারি? তিনি জানিয়েছেন যে, ডায়মন্ডহারবার পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ। রাজ্য সরকারের কাছে এই ঘটনার জন্য কৈফিয়ত তলব করেছেন তিনি।

রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পর এর প্রত্যুত্তর করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। কুনাল ঘোষ জানালেন যে, রাজ্যপাল তাঁর নাতির বয়সী, এক বাচ্চা ছেলেকে টার্গেট করেছেন। তিনি জানালেন ” বিজেপির কেন্দ্র-রাজ্য এবং রাজ্যপাল তাকেও টার্গেট করেছে। রাজ্যপালও তাতে পা বাড়িয়েছেন। সকাল ৯টার পর জিলিপি পাওয়া যায় না, সেটা নিয়েও উনি ট্যুইট করতে পারেন। ” অন্যদিকে, গতকাল বৈঠকে রাজ্যপাল জানালেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচন সন্ত্রাসমুক্ত হবে। এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, কুড়ি মাস পর তাঁর কেন ঘুম ভাঙলো?

যেখানে রাজ্যপাল হলেন কৃষক পরিবারের সন্তান। রাজ্য সরকারের মিডলম্যান হওয়া কখনই উচিত নয়।রাজ্যপালের এই বক্তব্যের জবাবে কুনাল ঘোষের মন্তব্য, ” রাজ্যপাল আসলে ট্যুইট না করতে পারলে অস্বস্তি বোধ করেন, এখানে অনেক হাসপাতাল আছে, সেখানে যেতে পারেন, উইথড্রল সিনড্রম নিয়ে। ” এভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের মধ্যে দেখা দিল বাকযুদ্ধ। রাজনীতির ক্ষেত্রে বাড়লো চাপান-উতোর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!