এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > আবারও শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর মুক্তাঞ্চলকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে তীব্র বিতর্ক

আবারও শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর মুক্তাঞ্চলকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে তীব্র বিতর্ক

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কয়েক মাস আগে বাংলার রাজনীতিতে অন্যতম জায়গা করে নিয়েছিল শান্তিনিকেতনের পাঁচিল কান্ড। বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে সে সময় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপির মধ্যে ব্যাপক আকারে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলে। শেষমেশ হাইকোর্ট থেকে একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয় এবং বলা হয় এই কমিটির নির্দেশ নিয়ে পাঁচিল দিতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কার্যক্ষেত্রে অন্য ঘটনা। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা কিন্তু অভিযোগ জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর বিভিন্ন প্রান্তে বিনা অনুমতিতে একের পর এক পাঁচিল উঠছে। আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

অভিযোগের জেরে শান্তিনিকেতনের রতন পল্লীতে রতনকুঠির পিছনের রাস্তায় পাঁচিল দেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে গেল। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে শুরু হয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তখনকার মত ঝামেলা মিটলেও এ বছরের প্রথম দিনেই শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনে সুরশ্রী পল্লী যাওয়ার রাস্তায় পাঁচিল দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়। সেসময় জেলাশাসক বিজয় ভারতী পাঁচিলের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে পাঁচিল দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হঠাৎ করেই রাস্তার ওপর পাঁচিল তুলে দেওয়া যাবেনা। এদিন শান্তিনিকেতন থানায় রতনপল্লীর বাসিন্দারা অভিযোগ জানান, বাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তা আটকে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছে। যথারীতি পুলিশ এসে এই পাঁচিল দেওয়া বন্ধ করে দেয়।অন্যদিকে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকারের কাছে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পাঁচিল দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অবৈধ প্রবেশ রুখতে পাঁচিল দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে। অন্যদিকে সমাজের বিদ্বজ্জনেদের অনেকেই মনে করছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন বরাবরই প্রকৃতিকে সাথে নিয়ে উন্মুক্ত থেকেছে সবার জন্য। যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দিলে কবিগুরুকে অসম্মান করা হয়। অতএব শান্তিনিকেতনের মুক্তাঞ্চলকে ঘেরাটোপে বন্দী করা নিয়ে কিন্তু বিতর্ক চলছিলই এবং আগামী দিনেও চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!